পশ্চিমবঙ্গে আটকেপড়াদের দেশে ফেরাতে কলকাতা উপদূতাবাসের উদ্যোগ
করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ভারতে চলছে টানা ২১ দিনের লকডাউন। আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এই লকডাউন। আর এই লকডাউনের ফলে ভারতে এসে আটকে গিয়েছেন অসংখ্য বাংলাদেশি নাগরিক। তাই তাদের দেশে ফেরাচ্ছে কলকাতাস্থ বাংলাদেশের উপদূতাবাস।
এসব বাংলাদেশি নাগরিকদের বেশিরভাগই ভারতে চিকিৎসা নিতে এসে আটকে গিয়েছেন। লকডাউনের কারণে অনেকের চিকিৎসা শেষ হলেও ফিরতে পারছেন না নিজ দেশে। ফুরিয়ে যাচ্ছে তাদের সঙ্গে থাকা টাকা পয়সা। কবে তারা বাংলাদেশে ফিরে যেতে পারবেন তার নিশ্চয়তাও পাচ্ছেন না।
কলকাতার নিউমার্কেট এলাকায় ইতোমধ্যেই হোটেলবন্দি হয়ে গিয়েছেন বহু বাংলাদেশি। এছাড়াও সীমান্তবর্তী এলাকা ও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে আটকে রয়েছেন বহু বাংলাদেশি মানুষ। এই পরিস্থিতিতে ভারত তথা কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গে আটকে পড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন। বাংলাদেশের অনেক নাগরিক বিভিন্ন রাজ্যে অবস্থান করছেন। তাদের অনেকের ভিসার মেয়াদ শেষের পথে।
উপ-দূতাবাসের প্রথম প্রেস কনস্যুলার ড. মোফাক্কারুল ইকবালের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ‘ইতোমধ্যে যে সকল বাংলাদেশি নাগরিক চিকিৎসা ও ভ্রমণজনিত কারণে কলকাতায় আটকে আছেন তাদের উপ-দূতাবাসের তরফ থেকে দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের সকলকে দূতাবাসের হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করে নিজের নথি দিয়ে আসতে বলা হয়েছে। যদিও কলকাতার বাইরে যারা চিকিৎসার জন্য চেন্নাই কিংবা অন্য কোনো রাজ্যে রয়েছেন তাদের ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
উপ-দূতাবাস থেকে জানানো হয়েছে, কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গে আটকেপড়া বাংলাদেশি নাগরিকরা যেন দেশে ফেরার জন্য কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। প্রয়োজনে হটলাইনেও তারা যোগাযোগ করতে পারেন।
কলকাতা উপ-হাইকমিশনের মিনিস্টার ও দূতালয় প্রধান বিএম জামাল হোসেন স্বাক্ষরিত সার্কুলারে দূতাবাস সহায়তা কেন্দ্রে জরুরি যোগাযোগের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ সুবিধাসহ দুটি হটলাইন নম্বর খোলা হয়েছে। হটলাইন নম্বর দুটি হলো: +৯১-৯০৩৮২২৩৮৩২ ও +৯১-৭২৭৮৪১০৬৩৪। ২৪ ঘণ্টা এই অনলাইন সেবা কেন্দ্রটি চালু থাকবে।
পি
মন্তব্য করুন