পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশের পতাকা অবমাননায় গ্রেপ্তার ৩
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগের তিন যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, আর্য দাস, সুবীর দাস ও রিপন চট্টোপাধ্যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত তিনজনই ‘বজরং’ দলের সদস্য।
পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত স্টেশন-সংলগ্ন এলাকার একটি সড়কে সম্প্রতি বাংলাদেশের পতাকা এঁকে তা পা দিয়ে মাড়ানোর অভিযোগ ওঠে। খবর পেয়ে আন্দোলনরত যুবকদের মধ্য থেকে প্রথমে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বাংলাদেশে সম্প্রতি রাষ্ট্রদ্রোহী মামলায় সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারের পর ভারত প্রতিক্রিয়া দেখায়। অভ্যন্তরীণ বিষয়ে এমন হস্তক্ষেপের প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকাও।
এরই জের ধরে এর আগে কলকাতায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনের বাহিরে সহিংস বিক্ষোভ করে ‘বঙ্গীয় হিন্দু জাগরণ’ নামে কলকাতার একটি ধর্মীয় সংগঠন। এ নিয়েও ভারতকে উদ্বেগের কথা জানায় ঢাকা। এ ঘটনার রেশ হতে না হতেই ভারতের ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনেও হামলা চালানো হয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় বাংলাদেশের পতাকা।
এমন উত্তেজনার মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে আবারও বাংলাদেশের পতাকা অবমাননার অভিযোগ উঠলো। তবে গ্রেপ্তারকৃত যুবকদের দাবি, বাংলাদেশের বুয়েট ক্যাম্পাসের প্রবেশপথে ভারতের পতাকা রেখে, তা মাড়িয়ে শিক্ষার্থীরা হেঁটে যাচ্ছেন— এমন ভিডিও দেখার পরই তারা প্রতিশোধ নিতে তারা এ কাজ করেছেন। যদিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর বুয়েট ক্যাম্পাসে গিয়ে এমন কোনো চিত্র পাননি স্থানীয় সাংবাদিকরা। ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরাও এ বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আরেকটি ভাইরাল ছবিতে দেখা গেছে, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা হাতে পাঞ্জাবি ও টুপি পরিহিত এক ব্যক্তি ভারতের জাতীয় পতাকা পায়ে মাড়াচ্ছেন। তবে অনুসন্ধানের পর ফ্যাক্ট চেক সংস্থা রিউমর স্ক্যানার জানিয়েছে, ভাইরাল ছবিটি বাস্তব নয়, বরং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির সাহায্যে তৈরি করা হয়েছে।
আরটিভি/এআর/এস
মন্তব্য করুন