রাতে সৌদি থেকে ফিরছেন ৩৬৬ বাংলাদেশি
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে সৌদি আরবে আটকে পড়া ১৩২ জন ওমরাহ হজ যাত্রী ও অবৈধ ২৩৪ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরছেন।
বুধবার রাত ৯টার দিকে সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে তাদের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছানোর কথা।
এদের মধ্যে অবৈধ হয়ে যাওয়া ৩২ জন মহিলা কর্মীও রয়েছেন।
সৌদি দূতাবাস সূত্রে জানা যায়, গত ৯ এপ্রিল এই ৩৬৬ জন যাত্রী নিয়ে সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে দেশটিতে লকডাউন ও কারফিউ জারি থাকায় তা সম্ভব হয়নি।
এমকে
মন্তব্য করুন
পলাতক পুলিশ সদস্যরা এখন থেকে ‘সন্ত্রাসী’ বিবেচিত হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের প্রেক্ষাপটে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যে পুলিশ সদস্যরা কাজে যোগ দেননি, তাদের কর্মক্ষেত্রে যোগদানের জন্য বেশ কয়েকবার আহ্বান জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরপরও এখন পর্যন্ত ১৮৭ জন সদস্য কাজে যোগ না দিয়ে পলাতক অবস্থায় রয়েছেন।
গা-ঢাকা দেওয়া এই পুলিশ সদস্যদের এখন থেকে ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) দুইদিনের সফরে রাজশাহীতে গিয়ে এ ঘোষণা দেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, পুলিশ বাহিনীর ১৮৭ জন সদস্য কাজে যোগ না দিয়ে পলাতক রয়েছে। তারা এখন সন্ত্রাসী হিসেবে বিবেচিত হবে এবং দেখামাত্রই তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।
তিনি বলেন, পুলিশ পুরোদমে কাজে যোগদান করতে পারছে না, এ কথা সত্যি। জনগণের যে গুঞ্জন এটা মিথ্যা না। ৫ আগস্ট এরপর যে অবস্থা ছিল সে অবস্থা থেকে এখন অনেকটা উত্তরণ হয়েছে। ইম্প্রুভ তো করেছে।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের উত্তরে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আওয়ামী লীগ আমলে মেধার বাইরে দলীয় বিবেচনায় বিসিএসে নিয়োগপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
কৃষিখাতে যান্ত্রিকীকরণ ও সারের দুর্নীতির বিষয়ে তিনি বলেন, কৃষিক্ষেত্রে শুধু যান্ত্রিকীকরণই নয়, সারের ক্ষেত্রে একটা বড় দুর্নীতি হয়েছে। এটার ক্ষেত্রে আমরা একটা ইনকয়ারি করছি। যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়া হচ্ছে।
আরটিভি/এসএইচএম-টি
দেশের বাজারে স্বর্ণের দামে ফের রেকর্ড
দেশের বাজারে স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) বাজুস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ভরিতে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৬১৩ টাকা বাড়িয়ে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ৪০ হাজার ৬১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতিভরি স্বর্ণ ১ লাখ ৩৩ হাজার ৭০৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতিভরি স্বর্ণ ১ লাখ ১৪ হাজার ৫৯৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতিভরি স্বর্ণের দাম ৯৪ হাজার ১১৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বাড়াসহ সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। রোববার (২০ অক্টোবর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।
এর আগে, গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ২৫৯ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।
উল্লেখ্য, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ৪৩ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ২৬ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ১৭ বার।
আরটিভি/আরএ/এসএ
রাষ্ট্রদূত হলেন সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী
সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
সোমবার (২১ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এম মুশফিকুল ফজল আনসারীকে অন্য যেকোনো পেশা, ব্যবসা কিংবা সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অথবা সংগঠনের সাথে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী তিন বছরের জন্য সিনিয়র সচিব পদমর্যাদায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপূর্বক বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনে রাষ্ট্রদূত পদে পদায়নের নিমিত্তে তার চাকরি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হলো।
এর আগে, গত ১২ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরেন আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জনমত গঠনের অন্যতম কারিগর সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী। প্রায় এক দশক সাহসিকতার সঙ্গে মার্কিন হোয়াইট হাউস, স্টেট ডিপার্টমেন্টসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ভঙ্গুর মানবাধিকার পরিস্থিতি ও আওয়ামী দুঃশাসনের নানা প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন পেশাদার এই সাংবাদিক।
সাহসী সাংবাদিকতার কারণে সরকারের রোষানলে পড়ে ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি।
আরটিভি/এসএপি
আমার কাছে শেখ হাসিনার পদত্যাগের দালিলিক প্রমাণ নেই: রাষ্ট্রপতি
ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন—এমন তথ্য সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান গণমাধ্যমে জানিয়েছিলেন। তবে তার পদত্যাগের কোনো সরকারি বা দালিলিক প্রমাণ এখনো মেলেনি।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেছেন, ‘শুনেছি তিনি (শেখ হাসিনা) পদত্যাগ করেছেন। তবে বহু চেষ্টা করেও পদত্যাগপত্র খুঁজে পাইনি । তিনি হয়তো জানানোর সময় পাননি।’
শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নিয়ে অনুসন্ধান করেছেন দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী। পত্রিকাটির রাজনৈতিক ম্যাগাজিন ‘জনতার চোখে’ গত শনিবার (১৯ অক্টোবর) প্রকাশিত ‘উনি তো কিছুই বলে গেলেন না’ শীর্ষক প্রতিবেদনে তিনি তুলে ধরেছেন এর বিস্তারিত।
৫ আগস্ট ছাত্র-আন্দোলন ও গণবিক্ষোভের মুখে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। সংবিধানের ৫৭ (ক) ধারা অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিতে হবে। কিন্তু রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, তার কাছে শেখ হাসিনার কোনো পদত্যাগপত্র বা সংশ্লিষ্ট কোনো প্রমাণ পৌঁছায়নি।
রাষ্ট্রপতির ভাষ্য, ‘আমি বহুবার পদত্যাগপত্র সংগ্রহের চেষ্টা করেছি, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছি। হয়ত তার সময় হয়নি’।
মতিউর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে কথোপকথনে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘৫ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে বঙ্গভবনে ফোন আসে, যেখানে বলা হয়েছিল যে প্রধানমন্ত্রী প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য আসবেন। এরপরই বঙ্গভবনে প্রস্তুতি শুরু হয়। কিন্তু এক ঘণ্টার মধ্যে আরেকটি ফোন আসে যে তিনি (শেখ হাসিনা) আসছেন না।’
তিনি বলেন, ‘চারদিকে অস্থিরতার খবর। কী হতে যাচ্ছে জানি না। আমি তো গুজবের ওপর নির্ভর করে বসে থাকতে পারি না। তাই সামরিক সচিব জেনারেল আদিলকে বললাম খোঁজ নিতে। তার কাছেও কোনো খবর নেই। আমরা অপেক্ষা করছি। টেলিভিশনের স্ক্রলও দেখছি। কোথাও কোনো খবর নেই। এক পর্যায়ে শুনলাম, তিনি দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। আমাকে কিছুই বলে গেলেন না।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার যখন বঙ্গভবনে এলেন তখন জানার চেষ্টা করেছি প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন কি না? একই জবাব। শুনেছি তিনি পদত্যাগ করেছেন। মনে হয় সে সময় পাননি জানানোর।’
তিনি বলেন, ‘সব কিছু যখন নিয়ন্ত্রণে এলো তখন একদিন মন্ত্রিপরিষদ সচিব এলেন পদত্যাগপত্রের কপি সংগ্রহ করতে। তাকে বললাম, আমিও খুঁজছি’।
আলাপচারিতার এক পর্যায়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, এ বিষয়ে আর বিতর্কের সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রী চলে গেছেন এবং এটাই সত্য। তবুও এই প্রশ্নটি যাতে আর কখনও না ওঠে তা নিশ্চিত করতে আমি সুপ্রিম কোর্টের মতামত চেয়েছি।
রাষ্ট্রপতির পাঠানো রেফারেন্সের প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ ৮ আগস্ট এ সম্পর্কে তাদের মতামত দেন। এতে বলা হয়, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সাংবিধানিক শূন্যতা দূর করতে এবং নির্বাহী কার্যক্রম সুন্দরভাবে পরিচালনার উদ্দেশ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা যেতে পারে। প্রেসিডেন্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টামণ্ডলীকে শপথবাক্য পাঠ করাতে পারবেন বলে আপিল বিভাগ মতামত দেন।
জনতার চোখ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে- পালিয়ে যাওয়ার আগ মুহূর্তে রেডিও-টেলিভিশনে ভাষণ দেয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছিলেন শেখ হাসিনা। বলেছিলেন- দীর্ঘ নয়, অল্প সময় কথা বলবেন তিনি। কিন্তু পরিবেশ পরিস্থিতি এবং সেনাপ্রধানের অনাগ্রহে সে সুযোগ পাননি শেখ হাসিনা। তখন তাকে বলা হয়, চারদিকে লোকজন জড়ো হয়ে গেছে। সবাই মারমুখো। অল্প সময়ের মধ্যেই তারা গণভবনে পৌঁছে যেতে পারে। তার নিরাপত্তার কথা ভেবেই তাকে সে সুযোগ দেয়া যাবে না। হাসিনা বিরক্ত, ক্ষুব্ধ। কিন্তু কিছুই করার ছিল না। বক্তৃতার একটি খসড়া তৈরি করেছিলেন তিনি। নানা সূত্রে জানা যায়, এতে তিনি বলতে চেয়েছিলেন- তার ইচ্ছায় নয়, বলপূর্বক তাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হচ্ছে। কারা এবং কোন বিদেশি শক্তি তার সরকারকে উৎখাত করতে চেয়েছে এটাও তিনি দেশবাসীকে জানাতে চেয়েছিলেন। তাঁর শাসনকালে দেশের কি কি উন্নয়ন হয়েছে তারও বয়ান ছিল। সকাল থেকে দুপুর, এ সময় নানাভাবে দরকষাকষিও চলছিল। বারবার ফোন আসছিল নয়াদিল্লি থেকে। বলা হচ্ছিল, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা যেন বিঘ্নিত না হয়। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ঢাকার তরফে দিল্লিকে বলা হয়েছিল- তারা যেন বিমান পাঠিয়ে হাসিনাকে নিয়ে যান। সে অনুরোধে সাড়া দেয়নি দিল্লি। এরপর বাংলাদেশের স্ব-উদ্যোগে বিমান বাহিনীর একটি সি-১৩০ বিমানে তাকে দিল্লি পাঠানো হয়। হাসিনাকে বহনকারী বিমানে আরও দু’জন ছিলেন। তার ছোটবোন শেখ রেহানা ও নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক।
উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা ভারত পালিয়ে যাওয়ার পর ৫ আগস্ট রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তিন বাহিনীর প্রধানদের সামনে রেখে বলেছিলেন- ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং আমি তা গ্রহণ করেছি।’ রাষ্ট্রপ্রধানের এই দ্বিমুখী বক্তব্যে সৃষ্টি হয়েছে ধুম্রজালের। ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
আরটিভি/এআর/ ডিসিএনই
রাষ্ট্রপতির মন্তব্য প্রসঙ্গে যা বললেন সারজিস আলম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর মতো মানুষ যদি বলেন শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্রের ডকুমেন্টস তিনি রাখেননি, তাহলে তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, তা ছাত্র-সমাজই নির্ধারণ করবে।
সোমবার (২১ অক্টোবর) রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্রের কোনো দালিলিক প্রমাণ নিজের কাছে নেই বলে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের করা মন্তব্যের পর একথা বলেন সারজিস আলম।
জাতীয় পার্টি প্রসঙ্গে সারজিস বলেন, জাতীয় পার্টি হলো একটি বিবেকহীন দল। যারা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে সাপোর্ট দিয়েছে। তাদেরকে নিয়ে রাজনৈতিক টেবিলে আলোচনা করার যুক্তি নেই।
সারজিস আলম আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট সিস্টেম এখনো সরেনি। বিভিন্ন এজেন্সি ও কুচক্রী মহল দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছে। তাদের প্রতিহত করতে হবে। প্রয়োজনে আমরা আবার রাজপথে নামব।
আরটিভি/এআর/এসএ
রাষ্ট্রপতি মিথ্যাচার করে শপথের লঙ্ঘন করেছেন: আইন উপদেষ্টা
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র পাননি বলে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন মিথ্যাচার করে শপথের লঙ্ঘন করেছেন।
সোমবার (২১ অক্টোবর) মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, রাষ্ট্রপতি পদে তার থাকার যোগ্যতা আছে কি না এ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। উনি যদি তার বক্তব্যে অটল থাকেন তাহলে বিষয়টি উপদেষ্টা পরিষদে যাবে এবং পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা মতামত দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি স্ববিরোধিতা করছেন। তার এ পদে থাকার আর অধিকার নেই। ভাষণে তিনি বলেছেন শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। এখন আড়াইমাস পরে এ কথা কীভাবে বলেন? তিনি রাষ্ট্রপতি পদে থাকতে পারেন না।
এর আগে, শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নিয়ে অনুসন্ধান করেছেন দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী। পত্রিকাটির রাজনৈতিক ম্যাগাজিন ‘জনতার চোখে’ প্রকাশিত ‘উনি তো কিছুই বলে গেলেন না’ শীর্ষক প্রতিবেদনে তিনি তুলে ধরেছেন এর বিস্তারিত।
মতিউর রহমান চৌধুরী জানিয়েছেন, তার অনুসন্ধানে শেখ হাসিনার পদত্যাগের কোনো সরকারি বা দালিলিক প্রমাণ এখনো মেলেনি।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে বলেছেন, ‘শুনেছি তিনি (শেখ হাসিনা) পদত্যাগ করেছেন। তবে বহু চেষ্টা করেও পদত্যাগপত্র খুঁজে পাইনি। তিনি হয়তো জানানোর সময় পাননি।’
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-আন্দোলন ও গণবিক্ষোভের মুখে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। সংবিধানের ৫৭ (ক) ধারা অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিতে হবে। কিন্তু রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, তার কাছে শেখ হাসিনার কোনো পদত্যাগপত্র বা সংশ্লিষ্ট কোনো প্রমাণ পৌঁছায়নি।
উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা ভারত পালিয়ে যাওয়ার পর ৫ আগস্ট রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তিন বাহিনীর প্রধানদের সামনে রেখে বলেছিলেন- ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং আমি তা গ্রহণ করেছি।’ রাষ্ট্রপ্রধানের এই দ্বিমুখী বক্তব্যে সৃষ্টি হয়েছে ধুম্রজালের। ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে।
আরটিভি/এসএপি/এসএ
প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ইস্যুতে স্পষ্ট বক্তব্য দিলেন রাষ্ট্রপতি
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের বিষয়টি মীমাংসিত এবং এ বিষয়ে নতুন করে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি করে অন্তর্বর্তী সরকারকে অস্থিতিশীল কিংবা বিব্রত করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
সোমবার (২১ অক্টোবর) রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের উপপ্রেস সচিব শিপলু জামানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ইস্যুতে রাষ্ট্রপতিকে উদ্ধৃত করে বিভিন্ন মিডিয়ায় যে প্রচারণা চালানো হয়েছে তা জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে। এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে সুস্পস্ট বক্তব্য হচ্ছে, ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ও দেশত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেয়া এবং বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সাংবিধানিক বৈধতার উপর যত ধরনের প্রশ্ন জনমনে উদ্রেক হয়েছে সেগুলোর যাবতীয় উত্তর স্পেশাল রেফারেন্স নং-০১/২০২৪ এ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের গত ৮ আগস্ট, ২০২৪ এর আদেশে প্রতিফলিত হয়েছে।
আরও বলা হয়, সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি গত ৮ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের মতামত চাওয়ার প্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ এই মতামত দিয়েছিলেন। মীমাংসিত এই বিষয়ে নতুন করে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অস্থিতিশীল কিংবা বিব্রত করা থেকে বিরত থাকার জন্য রাষ্ট্রপতি সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মীমাংসিত এ বিষয়ে নতুন করে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি করে অন্তর্বর্তী সরকারকে অস্থিতিশীল কিংবা বিব্রত করা থেকে বিরত থাকার জন্য মহামান্য রাষ্ট্রপতি সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
আরটিভি/একে-টি