যানজটের এ নগরীতে মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ারিং এখন বেশ জনপ্রিয়। অ্যাপ এবং খ্যাপ—দুভাবেই রাইড শেয়ারিং চলছে। এরমধ্যে একটি অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং, অপরটি রাইডার ও যাত্রীর দর কষাকষিতে চুক্তি। যা অ্যাপ ও খ্যাপ নামে পরিচিত।
রাজধানীতে অনেক বেকার, চাকরির পেছনে না ছুটে আয়ের মাধ্যম হিসেবে বেছে নিচ্ছেন রাইড শেয়ারিং। আবার স্বল্প আয়ের অনেকেই একটু বাড়তি আয়ের জন্য পার্টটাইমে যুক্ত হন এই পেশায়। অ্যাপ ভিত্তিক রাইড শেয়ারিং সহজ ও নিরাপদ হলেও বেশিরভাগ রাইডারই এটি ব্যবহার করতে অনীহা দেখান। অ্যাপের সীমাবদ্ধতা, কমিশন বাণিজ্য নিয়েও বিস্তর অভিযোগ এসব রাইডারের।
এদিকে বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির তথ্যমতে, যানজটের এ নগরীতে পাঁচ লাখের মতো এবং সারাদেশে আরও প্রায় ১২ লাখ মোটরযান রাইড শেয়ারিং করে চলে। যার অধিকাংশই অ্যাপের বিপরীতে চলে খ্যাপে।
বিআরটিসির বরাতে, এই প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত পরিসংখ্যানে অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিংয়ে যুক্ত আছে ২৮ হাজারের মতো মোটরযান রাইডার।
অ্যাপের থেকে খ্যাপে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বাইকারদের! তাদের দাবি, অ্যাপে নানা জটিলতা রয়েছে, সঙ্গে অতিরিক্ত কমিশন। যা বাইকে রক্ষণাবেক্ষণ খরচ ও বর্তমানে জ্বালানি মূল্যের সঙ্গে সামাঞ্জস্যপূর্ণ নয়।