নিরাপত্তা আতঙ্কে বন্ধ রাজধানীর বেশিরভাগ এটিএম বুথ
নিরাপত্তা আতঙ্কে রাজধানীর বেশিরভাগ এটিএম এবং সিআরএম বুথ বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ গ্রাহকরা।
বুধবার (৭ আগস্ট) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ধানমন্ডি, শ্যামলী, কলাবাগান, মোহাম্মদপুর ও সায়েন্স ল্যাব এলাকায় মার্কেন্টাইল ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, এবি ব্যাংক, ইউসিবি ব্যাংকসহ বেশকিছু ব্যাংকের এটিএম সেবা বন্ধ পাওয়া যায়। তবে হাতে গোনা কিছু এটিএম বুথ খোলা পাওয়া গেছে।
বন্ধ থাকা বেশিরভাগ ব্যাংকের বুথের নিরাপত্তাকর্মীদেরও দেখা যায়নি। যাদের পাওয়া গেছে তারা বলেছেন, নিরাপত্তার অভাবে বুথগুলোতে টাকা সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি।
এটিএম বুথের নিরাপত্তাকর্মী আতাউর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গত দুদিন থেকেই আমাদের বুথ বন্ধ রয়েছে। টাকা ঢোকানো সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া এই এলাকায় ছিনতাই আতঙ্ক ছড়িয়েছে। রাতে ডাকাতি হচ্ছে। যে কারণে শাখা বন্ধ রাখার নির্দেশ রয়েছে।’
আরেক নিরাপত্তাকর্মী সজীবুর রহমান বলেন, ‘যতক্ষণ-না নিরাপত্তা ব্যবস্থা স্বাভাবিক হচ্ছে ততক্ষণ আমাদের সেবা বন্ধ থাকবে। তবে দ্রুত এ সংকট কেটে যাবে।’
বুথ থেকে টাকা তুলতে আসা একজন গ্রাহক রিয়াদ মোর্শেদ জানান, কয়েকটি বুথ ঘুরে তিনি এসেছেন। ইতোমধ্যে ২০০ টাকা রিকশা ভাড়া খরচ হলো। তবু টাকা তুলতে পারেনি তিনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি বেসরকারি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, বুথগুলোতে সাধারণত থার্ড পার্টির মাধ্যমে টাকা সরবরাহ করা হয়। কিন্তু বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা অবস্থার অবনতি হওয়ায় থার্ড পার্টিগুলো ঝুঁকি নিতে চাচ্ছে না। ব্যাংকগুলো নিজেরা গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে নিজস্ব সার্ভিসের মাধ্যমে টাকা সরবরাহ করছে।
তিনি বলেন, গ্রাহকদের আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। দু-এক দিনের মধ্যে এ সংকট কেটে যাবে।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর অবস্থা আরও বেগতিক হয়ে পড়ে। রাজধানী ঢাকার অধিকাংশ থানা আক্রমণের শিকার হলে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা একরকম অঘোষিতভাবে নিষ্ক্রিয় পড়েন। এই সুযোগে দুর্বৃত্ত ও এক শ্রেণির মানুষ চুরি, ডাকাতি ও লুট করছে।
পুলিশ সূত্র বলছে, ঢাকাসহ সারাদেশে চার শতাধিক থানায় হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। অবস্থা বিবেচনায় থানায় বা নিজ নিজ কার্যালয়ে থাকা কেউ নিরাপদ মনে করছেন না। কেউ কেউ আত্মীয়-স্বজনের বাসায় আত্মগোপনে রয়েছেন। আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালানোর রোষ কাটছেই না। কয়েকটি থানা থেকে সেনা সদস্যরা পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করেছেন।
মন্তব্য করুন