রাজধানীতে শারমিন (১৭) ও নুর নাহার (১৯) নামে দুই নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (২১ মে ) রাতে লালবাগের নবাবগঞ্জে ও কদমতলীর নামা শ্যামপুর এলাকা থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।
নিহত শারমিনের ভাই রুবেল বলেন, আমার বোন একটু রাগী স্বভাবের ছিল। মাত্র ৬ থেকে ৭ সাত মাস আগে বিয়ে হয়েছে তার। এরপর তারা নবাবগঞ্জের তৃতীয় তলা একটি ভবনের নিচ তলায় ভাড়া থাকত। গতরাতে পারিবারিক কলহের জেরে হঠাৎ করে শারমিন ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়।
তিনি আরও বলেন, বেশ কিছু সময় পার হলেও তার কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে দেখি জানালার গ্রিলের সঙ্গে প্যান্টের বেল্ট গলায় পেঁচিয়ে ঝুলে আছে শারমিন। পরে দ্রুত তাকে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান আমার বোন আর বেঁচে নেই।
এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক গণমাধ্যমকে বলেন, মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।
অপরদিকে, একই রাতে কদমতলী নামা শ্যামপুর এলাকার একটি বাসা থেকে নুর নাহার (১৯) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
কদমতলী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুন নাহার বলেন, গত রাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে আজ (বৃহস্পতিবার) সকালের দিকে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, নিহতের স্বামী ডিউটিতে যাওয়ার জন্য রওনা করেছিল। কিন্তু স্ত্রী নুর নাহার তাকে কাজে যেতে বাধা দেয়। পরে তার স্বামী শ্বশুরের অনুমতি নিয়ে কাজে যায়। এতে ওই গৃহবধূ অভিমান করে ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে আমরা গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করেছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
আরটিভি/আইএম