শরীয়তপুরে লক্ষাধিক পরিবার পানিবন্দি
শরীয়তপুরে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। বন্যার পানিতে ভাসছে শরীয়তপুরের নড়িয়া, জাজিরা, ভেদরগঞ্জ ও শরীয়তপুর সদর উপজেলার ৫০টি ইউনিয়ন ও চারটি পৌরসভা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কমপক্ষে লক্ষাধিক পরিবার। খুব কষ্টে জীবন-যাপন করছে তারা।
পদ্মা নদীর পানি সুরেশ্বর পয়েন্টে বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। চার দিন যাবত শরীয়তপুর-ঢাকা মহাসড়ক তলিয়ে হাঁটু পানিতে ডুবে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
শরীয়তপুর-ঢাকা রুটে কাঁঠালবাড়ি ফেরী চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ঢাকা ও শরীয়তপুরগামী যাত্রীরা যাতায়াতে চরম বিপাকে পড়েছে। তাদের খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে। বন্যাদুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানীয় জল, শুকনো খাবার, শিশু খাদ্য, গো-খাদ্য ও পয়ঃনিষ্কাশনের সংকট রয়েছে। বন্যার পানিতে ভেসে গেছে হাজার হাজার একর মাছের পুকুর ও ঘের। মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে মাছ চাষিরা।
হাজার হাজার একর ফসলি জমির ফসল রোপা আমন বোনা আন পাট মেসতা শাক-সবজি তলিয়ে গেছে। কলার ভেলা ও নৌকাবিহীন চলাচলের কোনও উপায় নেই। বন্যাদুর্গতদের আশ্রয় নেয়ার জন্য ২৯৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রয়েছে। বন্যাদুর্গতদের মধ্যে পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেয়া জরুরি।
নড়িয়া পৌরসভার ঢালি পাড়া এলাকার পানিবন্দি চানমিয়া বলেন, বন্যার পানি আমাদের ঘরে ঢুকে হাঁটু পানিতে ডুবে গেছে। আমরা খুবই কষ্টে আছি। আমাদের খাবর সংকট। কোনও কাজকর্ম নেই। আর দুয়েক দিন পানি বাড়লে ঘরে থাকতে পারব না।
জাজিরা উপজেলার কুন্ডেরচর এলাকার সোনামদি বলেন, বন্যার পানিতে আমরা ভেসে যাচ্ছি। ঘরের টুয়া পর্যন্ত পানি। গবাদিপশু নিয়ে বিপদে আছি। আমাদের এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানীয় জলের অভাব,শুকনো খাবার ও পয়নিষ্কাশনের খুবই কষ্ট হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান হাবিবুর রহমান বলেন, পদ্মা নদীর পানি অব্যাহত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বন্যার পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। নতুন নতুন এলাকা তলিয়ে গেছে। সুরেশ্বর পয়েন্টে বন্যার পানি বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেবি
মন্তব্য করুন