লোকসানেই গরু বিক্রি করছেন খামারিরা
কদিন পরেই কুরবানির ঈদ। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি আর বৈরী আবহাওয়ায় উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ কুরবানির পশুহাট রাজশাহী সিটি হাটে ব্যাপারীদের সংখ্যা কম থাকলেও রয়েছে পর্যাপ্ত কুরবানি পশু, সংকট শুধু ক্রেতার। ফলে লসে বিক্রি করতে হচ্ছে গরু। আর প্রশাসন বলছে দেশীয় গরুর পর্যাপ্ত মওজুদ থাকায় এ জেলায় ভারতীয় গরুর কোনও চাহিদা নেই সাধারণ মানুষের মধ্যে। তবে করোনা পরিস্থিতিতে হাটে নেই স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই। তার ওপর শহরের সমস্ত বর্জ্যের ভাগার। এই ভাগারের উপরই হাঁটু পর্যন্ত কাদা-পানির ওপর বসছে এই পশুহাট।
শহরের সমস্ত বর্জ্য ফেলার ভাগারের ওপরই কয়েক যুগ ধরে বসছে উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ কুরবানির পশুর হাটটি। এখান থেকেই গরু যায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। বৈরী আবহাওয়ায় হাঁটু পর্যন্ত কাদা-পানিতে তলিয়ে যায় পশুসহ মানুষও। এরই মধ্যে এবারও চলছে পশু বেচাকেনা। হাটে চলমান করোনা পরিস্থিতিতেও স্বাস্থ্যবিধি বলে কিছুই নেই।
এদিকে হাটে পর্যাপ্ত দেশীয় গরু আছে ক্রেতা নেই। অন্যবারের তুলনায় তাই এবার গরুর দাম কিছুটা হলেও কম। বিভিন্ন বিক্রেতা বিভিন্ন দামে বিক্রি করার পর জানান যে তারা এবার গরু প্রতি প্রায় পাঁচ থেকে ১০ হাজার টাকা কমে বিক্রি করেছেন।
প্রতি বছর যেভাবে সিটি হাটে গরু আমদানি হয় করোনার কারণে এ বছর তার চেয়ে বেশ কম হচ্ছে। এখন দেখার ব্যপার যে কদিন কুরবানির এখনও বাকি আছে সেক্ষেত্রে এবার হাট জমে কিনা।
জেলার চাহিদা মিটিয়ে অন্যান্য জেলার চাহিদা মেটানোর মতো রাজশাহীতে মওজুদ রয়েছে কুরবানির পশু। ফলে এদিক দিয়ে ভারতীয় গরু আসার সম্ভাবনা তেমন নেই এবং একইসঙ্গে ভারতীয় গরুর কোনও চাহিদা সাধারণ মানুষের মধ্যেও নেই। তবে জেলার সবকটি হাটেই ক্রেতা-বিক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনা-বেচার করার কথা বলা রয়েছে।
জেবি
মন্তব্য করুন