ঢাকারোববার, ০১ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

দিনাজপুরে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে বসছে পশুর হাট

দিনাজপুর প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

মঙ্গলবার, ২৮ জুলাই ২০২০ , ০২:৪৯ পিএম


loading/img
ছবি সংগৃহীত

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দিনাজপুরে ব্যতিক্রমী কুরবানির পশুর হাট বসিয়েছে সেনাবাহিনী। শহরের মহারাজা গিরিজানাথ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গেল রোববার থেকে এই মাঠে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ‘ওয়ান ওয়ে’ ব্যতিক্রম এই পশুর হাটের উদ্বোধন হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬৬ পতাদিক ডিভিশনের ১৬ বিগ্রেডের অধীনস্থ ফোর হর্স ইউনিটের ক্যাপ্টেন মো. ইসতিয়াজ আরাফাত। জেলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই প্রথমবারের মত ‘ওয়ান ওয়ে’ আদর্শ পশুর হাটটি জেলার সবচেয়ে বড় পশুর হাট বলে বিবেচিত হচ্ছে। হাটে গরুর দাম ক্রেতারা বেশি বললেও বিক্রেতারা বলছে অন্য কথা। তারা বলছে গতবারের তুলনায় এবারে গরু প্রতি পাঁচ থেকে দশ হাজার টাকা কম। এতে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে গরু ব্যবসায়ীরা।

দিনাজপুরে এর আগে শুধু হাটবারে পশু বেচা-কেনা করা হতো। এবারই প্রথমবারের মত কুরবানীর জন্য  সেনাবাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে প্রতিদিন বেচা কেনার জন্য এই পশুর হাটটি চালু করা হয়েছে। শুধুমাত্র সাপ্তাহিক হাটবারে মানুষের চাপ কমাতে সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিদিন পশুর হাট বসবে ঈদের শেষ দিন পর্যন্ত।

বিজ্ঞাপন

ডা. শাহিনুর আলম, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জানান, দিনাজপুরে এবার কুরবানীর পশুর (গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া) চাহিদা  এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা। এর বিপরীতে  এক লাখ ৯০ হাজারেও বেশি পশু কুরবানির জন্য তৈরি রয়েছে। যা চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি মজুদ রয়েছে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬৬ পতাদিক ডিভিশনের ১৬ বিগ্রেডের অধীনস্থ ফোর হর্স ইউনিটের ক্যাপ্টেন মো. ইসতিয়াজ আরাফাত বলেন, আসন্ন ঈদুল আজহায় সবাই যাতে তার কুরবানির পশুটি নিরাপদে ক্রয়-বিক্রয় করতে পারে সেদিকে আমাদের মূল লক্ষ্য। আমরা এখানে আগত ক্রেতা-বিক্রেতা সকলের হাত ধুয়ে হাটে প্রবেশ করা, সর্বদা মাস্ক পরিধান করা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি আমরা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি।

এদিকে হাটে আগত ক্রেতারা বলছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে মহারাজা স্কুল মাঠে পশু কিনতে আসায় নিরাপদ বোধ করছে। পাশাপাশি অভিযোগ করছে গতবারের চেয়ে এবার কুরবানির পশুর দাম বেশি। তাই বিপাকে পড়ছে ক্রেতারা।

বিজ্ঞাপন
Advertisement

অন্যদিকে হাটে পশু নিয়ে আসা বিক্রেতারা বলছে তাদের লোকসানের কথা। সারা বছর কুরবানিকে লক্ষ্য করে তারা পশুকে বিশেষ যত্ন নেন। সেক্ষেত্রে খরচও অনেক বেশি পড়ে। তাই বর্তমান বাজার মূল্য তারা গরু প্রতি পাঁচ থেকে দশ হাজার টাকা লোকসান হবে বলে জানান।

করোনাকালীন আতঙ্ক ও সেইসঙ্গে অতি বৃষ্টিতে বন্যা দেখা দেয়ায় এবার পশুর হাটে ইজারার টাকা তোলাই কঠিন হয়ে পড়বে। সব মিলিয়ে আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কাই করছেন হাটের ইজারাদর।

সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ব্যতিক্রমধর্মী এই পশুর হাটটি প্রতিদিন স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিরাপদে তাদের পশু কেনা বেচায় ক্রেতারা যেন তাদের পছন্দের পশুটি কুরবানীর জন্য সহজে কিনতে পারেন এবং বেপারিরাও যেন আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন না হন এমনটি আশা প্রকাশ করেছেন হাটের আয়োজকবৃন্দ।

জেবি

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement

Loading...


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |