ঈদে পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্য নির্ধারণসহ ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন ট্যানারি শ্রমিক নেতারা।
বুধবার (৩১ মে) বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক সভায় এই দাবি জানান তারা।
‘চামড়া শিল্প: অর্জন ও প্রতিবন্ধকতা, ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের কার্যক্রম, বর্তমান অগ্রাধিকার ও ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক ওই সভার যৌথ আয়োজন করে ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ লেবার রাইটস জার্নালিস্ট ফোরাম (বিএলআরজেএফ)। এ সভার সহযোগিতায় ছিল সলিডারিটি সেন্টার।
সভায় বক্তারা বলেন, ট্যানারি শ্রমিকরা চরমভাবে বঞ্চিত। এ শিল্পের মালিকদের ভাগ্যের পরিবর্তন হলেও শ্রমিকদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। সাভার ট্যানারি পল্লীতে শ্রমিকদের জন্য আবাসনের কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। ফলে হাজারীবাগ থেকে প্রতিদিন ৭০ টাকা গাড়ি ভাড়া দিয়ে কারখানায় যেতে হয় কাজে। এতে বেতনের বড় একটি অংশই চলে যাচ্ছে যাতায়াতে। এ জন্য ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা নির্ধারণের দাবি জানান তারা।
সাভারের ট্যানারি কারখানাগুলো পরিবেশ দূষণ করছে দাবি করে বক্তারা বলেন, পরিবেশ দূষণের অভিযোগে রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে সাভারের হেমায়েতপুরে ট্যানারি শিল্প স্থানান্তর কোনো লাভ হয়নি। সাভারে সঠিকভাবে কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার তৈরি না করায় ট্যানারি বর্জ্য শোধন করা যাচ্ছে না। এই দূষিত বর্জ্য ফেলা হচ্ছে নদীতে। এছাড়াও যেখানে-সেখানে ফেলে রাখা হচ্ছে সলিড বর্জ্য। এভাবে হেমায়েতপুরের ট্যানারি পল্লীতেও পরিবেশ দূষণ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। অথচ হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্থ ব্যয় করে সরকার ট্যানারি পল্লী স্থাপন করেছে। এখানে শিল্প মন্ত্রণালয় ও বিসিকের ব্যর্থতার কারণেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এর দায় প্রতিষ্ঠান দুটিকে নিতে হবে বলে হুঁশিয়ার করে দেন বক্তারা।
সভায় বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ড. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, বিএলআরজেএফের সভাপতি কাজি আবদুল হান্নান, ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক, বিএলআরজেএফের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমানসহ অনেকে।