জঙ্গলে লুকানো বাঘকে দেখতে মানুষের ভিড়
গেল তিনদিন ধরে দেশের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ের সদর উপজেলার সাতমেড়া ইউনিয়নের মহুরীজোতসহ কয়েকটি গ্রামে চলছে বাঘ আসার আতংক। স্থানীয় মানুষদের দিনরাত কাটছে আতংকের মধ্যে। বাঘের আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য রাত জেগে লাঠি নিয়ে পাহারা দিচ্ছে স্থানীয়রা। এদিকে বিভিন্ন এলাকা মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দল বেধে আসছে বাঘ দেখতে। স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব তো দূরের কথা বরং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অসচেতনতায় বাঘ প্রবেশ করা পরিত্যক্ত চা বাগান ও জঙ্গলে হরহামেশায় ঘুরে বেড়াচ্ছে তারা।
গেল বুধবার মহুরীজোত এলাকায় পরিত্যক্ত একটি চা বাগানের পাশ দিয়ে কাউসার আলম নামে এক কৃষক মাঠ থেকে গরু নিয়ে বাড়িতে ফেরার সময় চা বাগান থেকে একটি বাঘ বের হয়ে তাদের আক্রমণ করে। সেসময় কোনরকম ওই কৃষক প্রাণ নিয়ে পালাতে পারলেও তার গরুকে নিয়ে যেতে পারেনি। পরে ওই কৃষকের চিৎকারের স্থানীয়রা তাকে নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে গরুটিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তবে বাঘের দেখা আর মেলেনি। স্থানীয়রা ধারণা করছে, বাঘটি পরিত্যক্ত চা বাগানে ভরা জঙ্গলে লুকিয়ে আছে।
এদিকে খবর পেয়ে বিভাগীয় বন কর্মকর্তার আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে ঢাকা থেকে আসা একটি বন্যপ্রাণী শিকারি দল বাঘ উদ্ধারে কাজ করলেও সাধারণ মানুষের সমাগম যেন দিন দিন বাড়ছে।
শুক্রবার ( ২১ আগস্ট) দিনভর দেখা গেছে মানুষের এমন সমাগমের চিত্র। বাঘ আসার আতংকে খবরটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ায় মানুষের সমাগম বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে বাঘ দেখতে আসা অনেককেই দেখা গেছে জঙ্গল ও পরিত্যক্ত চা বাগানে ঘুরে বেড়াতে।
সচেতন মহলের দাবী, প্রশাসন উচিত মানুষকে এভাবে পরিত্যক্ত চা বাগানে অবাধে ঘুরাঘুরি করা বন্ধ করা। কারণ যেকোনো সময় যে কেউ বাঘের আক্রমণের শিকার হতে পারে, তাই তাদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
দিনাজপুর বিভাগীয় বন বিভাগের কর্মকর্তা আব্দুর রহমান জানান, আমরা বন বিভাগের উদ্যোগে বাঘ উদ্ধারের চেষ্টা করছি। বাঘ উদ্ধার হলে উদ্ধার হওয়া বাঘ তেঁতুলিয়া ইকোপার্কে রাখা হবে।
আরও পড়ুন
এসএস
মন্তব্য করুন