হাতিয়া-ঢাকা রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে যাত্রীরা
নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সঙ্গে মূল ভূখণ্ডের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম নৌপথ। এর মধ্যে হাতিয়া-চট্টগ্রাম রুট, হাতিয়ার নলচিরা- চেয়ারম্যান ঘাট রুট ও ঢাকা-হাতিয়া রুট অন্যতম।
এ তিনটি রুটে প্রতিদিন ১০ হাজার যাত্রী আসা-যাওয়া করেন।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় কারণে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত থাকায় সরকারিভাবে রুটগুলোতে চলাচলকারী সকল জাহাজ ও লঞ্চ গেলো ২১ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়েন এই রুটে চলাচলকারী যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা।
হাতিয়া দ্বীপ নিউ মার্কেটের গার্মেন্টস ব্যবসায়ী আশিক ইকবাল আরটিভি নিউজকে জানান, ঢাকা থেকে মালামাল কিনে ফারহান-৩ লঞ্চে বুকিং দিয়েছেন গেলো ২১ সেপ্টেম্বর।
তারপর থেকে লঞ্চ আর হাতিয়া আসেনি। লঞ্চটি প্রতিদিন ঢাকা থেকে ছেড়ে এসে ভোলার তজুমদ্দিন থেকে আবার ঢাকায় ফিরে যাচ্ছে। তার দোকানের জন্য ক্রয় করা বিভিন্ন আইটেমের তিন কার্টুন মাল গেলো ছয় দিন লঞ্চের খোন্দলে ( মালামাল রাখার জায়গা) পড়ে আছে।
বর্তমানে লঞ্চে থাকা তার মালামালের কী অবস্থা জানেন না তিনি।লঞ্চে যোগাযোগ করলে সঠিক উত্তর দিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। এতে অনেকটা অসহায় ও হতাশায় দিন কাটছে এই ব্যবসায়ীর। একই অবস্থা হাতিয়ার বিভিন্ন বাজারের প্রায় দুই সহস্রাধিক ব্যবসায়ীর।
তমরদ্দি ঘাটের ইজারাদার আলা উদ্দিন আরটিভি নিউজকে জানান, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে কর্তৃপক্ষ ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকা-হাতিয়া রুটে চলাচলকারী দুটি লঞ্চকে হাতিয়া আসার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
লঞ্চ দুটি বিআইডব্লিউটিসির সঙ্গে আলাপ করে গেলো ছয় দিন ঢাকা থেকে ভোলার তজুমদ্দিন পর্যন্ত এসে ফিরে যায়।এতে হাতিয়ার অনেক যাত্রীকে তজুমদ্দিন নেমে ঝুঁকি নিয়ে ছোট ট্রলারে হাতিয়া আসতে হয়েছে।
এ ব্যাপারে এমভি ফারহান লঞ্চের তমরদ্দি ঘাটের সুপার ভাইজার এনায়েত হোসেন আরটিভি নিউজকে জানান, আবহাওয়া এখন অনেকটা ভালো। আসা করি দুই থেকে এক দিনের মধ্যে কর্তৃপক্ষ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে।
জেবি
মন্তব্য করুন