রংপুরে পানির নিচে তলিয়ে আছে বাড়িঘর ফসলি জমি
রংপুরে গত ৪দিন আগে ১০ ঘণ্টার বৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা ও বন্যার পানি কিছুটা কমলেও নগরীর নিচু ও বর্ধিত এলাকার অনেক বাড়িঘর ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে রয়েছে। ফলে গবাদিপশু, পাখি পরিবার পরিজন নিয়ে উঁচু নির্মাণাধীন ভবন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছে অনেকে।
আজও নগরীর বেশকিছুর রাস্তার উপর দিয়ে পানির স্রোত প্রবাহিত হলেও গত কয়েক দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে জলাবদ্ধতার পানি। নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডে পানিবন্দি মানুষের জন্য বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খোলা হয়েছে অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্রে।
অপরদিকে রংপুর জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনের যৌথ ব্যবস্থায় পানিবন্দি ও আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা মানুষদের খাবারে ব্যবস্থা করলেও সিটির বর্ধিত অনেক এলাকায় হাজারো মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় পরিবার নিয়ে মানবেতর ভাবে দিন কাটালেও সরকারি বা সিটির পক্ষ থেকে এখনও কোনও খাদ্য বা ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছেনি বলে জানান বানভাসিরা।
নগরীর ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আশরাফুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ এই পানি বৃদ্ধির ফলে বাড়িঘর গত ৫ দিন ধরে তলিয়ে রয়েছে। এতে গবাদি পশু ও পরিবারের লোকজন নিয়ে চরম বিপাকে রয়েছি।
১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল গাফফার জানান, নগরীর ভেতর দিয়ে প্রবাহিত ঘাঘট নদী সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে নগর পিতা মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা এই বন্যা ও জলাবদ্ধতার জন্য দুষলেন নগরবাসীকে। তিনি বলেন, যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলে নগরীর পানি নিষ্কাশনের অনেক ড্রেন বন্ধ হয়ে গেছে। সেগুলো পরিষ্কার ও সংস্কারে কাজ করছেন তারা।
তিনি আরও বলেন, আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে নগরীর সম্পন্ন পানি নেমে যাবে বলে আশা করছি।
এসএস
মন্তব্য করুন