এবার খালুর লালসার শিকার কিশোরী, ২ বছর যাবত ধর্ষণ
দেশে একের পর এক ধর্ষণ আর সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেই চলছে। এবার চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে খালু’র বিরুদ্ধে এক কিশোরীকে গত ২ বছর যাবত ধর্ষণ অব্যাহত রাখার অভিযোগ উঠেছে। সবশেষ টানা ১৩ দিন আটকের রেখে ধর্ষণের অভিযোগ করে সেই কিশোরী। ঘটনাটি ঘটে ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসা উত্তর ইউনিয়নের রস্তুমপুর গ্রামে।
পুলিশ জানায়, টানা ১৩ দিন আটকে রেখে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে খালু কামরুল ইসলাম (৪০)। এমনকি ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে সে। অভিযুক্ত কামরুল পার্শ্ববর্তী লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার পৌর এলাকার বাসিন্দা। ধর্ষণের ঘটনা গোপন রাখতে ১০ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই তরুণীকে বিভিন্নভাবে ভয় দেখায় ও চাপে রাখছিল খালু কামরুল। এ ঘটনায় ফরিদগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়েরের পর গত ৭ অক্টোবর গভীর রাতে ফরিদগঞ্জের গৃদকালিন্দিয়া বাজার থেকে অভিযুক্ত খালুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার এজহার থেকে জানা যায়, ওই তরুণীকে ২ বছর ধরে ধর্ষণ করে আসছিল খালু কামরুল হোসেন। ধর্ষণের ভিডিও সে তার মোবাইলে ধারণ করে রাখে। সর্বশেষ গত ২৫ সেপ্টেম্বর ওই মেয়েটি প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় তাকে মোটরসাইকেল তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। বহু খোঁজাখুঁজির পর গত ৭ অক্টোবর পার্শ্ববর্তী রায়পুর পৌর এলাকার খাজুরতলা সেলিম মঞ্জিল থেকে মেয়েটি উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা। উদ্ধারের পর মেয়েটি তার পরিবারের সদস্যদের মেয়েটি পুরো ঘটনা জানায়। পরে মেয়েটির মা বাদী হয়ে কামরুলের বিরুদ্ধে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন:
হাতিয়ায় বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
হেল্পারের কাছে আশ্রয় চেয়ে বাসের ভেতর ধর্ষণের শিকার নারী
টাকা ধার আনতে গিয়ে ৭ বন্ধুর ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ
অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর ধর্ষণের কথা লুকিয়ে রাখতে পারলেন না বিধবা নারী
মামলার তদন্তকারী পুলিশ অফিসার এসআই নুরুল ইসলাম বলেন, ৭ অক্টোবর কামরুল হোসেনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা কামরুলকে গত বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়। ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে। সে চাঁদপুরের আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।
ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শহিদ হোসেন বলেন, কামরুল ১৩ দিন মেয়েটিকে আটকে রাখে। মেয়েটিকে উদ্ধারের পর কামরুলের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষণের ভিডিও এবং ছবি আছে। সেগুলো তদন্তকারী কর্মকর্তা জব্দ করেছে। এগুলো তিনি সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
কেএফ/জিএ
মন্তব্য করুন