পাহাড়ি খাদে নিয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ
কক্সবাজারের রামু উপজেলায় পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধর্ষণের অভিযোগ গ্রেপ্তার সাইফুল ইসলাম সোহেল (২৫) রামু’র জোয়ারিয়ানালা পাহাড়িয়া পাড়া’র নুরুল ইসলামের ছেলে।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় রামু উপজেলার চা বাগান এলাকায় ওই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছিল। এরপর রামু থানা পুলিশ রাতে অভিযান চালিয়ে প্রধান অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম সোহেলকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় ওই শিশুর মা বাদী হয়ে রামু থানায় দুইজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে।
ধর্ষণের শিকার শিশুটি কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম আজ শনিবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন, রামুর জোয়ারিয়ানালার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী তার ছোট ভাই-বোন ও এক বন্ধুকে নিয়ে গতকাল শুক্রবার দুপুরে তার বাড়ি থেকে পার্শ্ববর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় বেড়াতে যায়।
সন্ধ্যায় নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে ইজিবাইকে করে বাড়িতে ফেরার পথে রামু চা বাগান এলাকায় পৌঁছে ওই স্কুলছাত্রী বন্ধুর সঙ্গে কথা বলছিল। এ সময় সাইফুল ইসলাম সোহেল ওই ছাত্রীকে পাশের পাহাড়ি খাদে নিয়ে ধর্ষণ করে। শাহেদ নামে আরেক যুবক বাকি তিন শিশুকে ভয় দেখিয়ে জঙ্গলের পাশেই দাঁড় করিয়ে রাখে।
আরও পড়ুনঃ
ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডই হবে: ইন্দিরা
ধর্ষণে মৃত্যুদণ্ড নয়, ৫০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া উচিত: ডা. জাফরুল্লাহ
ধর্ষণের বিচার চেয়ে অনশনে থাকা ঢাবি ছাত্রী অসুস্থ
ধর্ষণের সময় ধরা খেয়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে পালিয়েছিল শাহীন
পরে শাহেদ ওই শিশুকে ধর্ষণ করতে গেলে লোকজন এগিয়ে আসায় পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি পুলিশকে জানালে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
পরে অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সাইফুল ইসলাম সোহেলকে আটক করে পুলিশ। যদিও তার অপর সহযোগী একই এলাকার কালু মিয়ার ছেলে মো. সাহেদ এখনও পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মা বাদী হয়ে রামু থানায় দু’জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা করেছে। এ ঘটনায় জড়িত দ্বিতীয়জনকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
জেবি
মন্তব্য করুন