ধর্ষণের শিকার মেয়েকে জঙ্গল থেকে উদ্ধার করলেন মা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরীকে (১২) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার আড়াইসিধা ইউনিয়নের পাঁচবিটা গ্রামে এ ঘটনায় ঘটে।
এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে অভিযুক্ত ধর্ষক দেলোয়ার মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ।
দেলোয়ার পাচঁবিটা গ্রামের মলায় মিয়ার ছেলে। সম্পর্কে দেলোয়ার কিশোরীর মায়ের চাচাতো ভাই।
কিশোরীর পরিবার জানান, কিশোরী বাড়ি আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর গ্রামে। সে দীর্ঘদিন ধরে বাবা-মার সঙ্গে নানা বাড়িতেই বসবাস করতো। গতকাল শুক্রবার রাত আটটার কিশোরীর মা তরকারি দিতে পাশের বাড়িতে পাঠায়। তরকারি দিয়ে বাড়িতে ফেরার পথে দেলোয়ার তার মুখে চেপে ধরে পাশের জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে কিশোরী বাড়িতে আসতে দেরি করায় তার মা খুঁজতে থাকে। একপর্যায়ে কিশোরীর চিৎকার শুনতে পেয়ে তাকে জঙ্গল থেকে উদ্ধার করে।এ সময় ধর্ষক দেলোয়ার দ্রুত পালিয়ে যায়।
বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য বাচ্চু মিয়া, মাতব্বর আবুল কালাম ও ধর্ষক দেলোয়ারের বাবা মলাই মিয়া মিলে রাতেই বিষয়টি ধামাচাপা দিতে শালিশ বৈঠকে বসে।
আরও পড়ুন:
খালি ঘরে ধর্ষণ করতে গিয়ে হাতেনাতে যুবক আটক
পাহাড়ি খাদে নিয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ
বাবার বাড়ি বেড়াতে আসা নারীকে দিনদুপুরে জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ
গৃহবধূর চিৎকার শুনে ধর্ষককে হাতেনাতে আটক করলো স্বামী
কিন্তু কিশোরীর পরিবার মীমাংসা করতে রাজি না হওয়ায় চাপ দিতে থাকে। শনিবার সকালে কিশোরীর পরিবার বাড়ি থেকে পালিয়ে আশুগঞ্জ থানা পুলিশ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করেন। পরে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ কিশোরীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে জেলা সদর হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠায়। অভিযুক্ত ধর্ষক দেলোয়ারকে আটক করা হয়েছে।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রার্প্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদ জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ধর্ষক দেলোয়ারকে তার বাড়ি থেকে আটক করা হয়েছে। কিশোরীর পরিবারকে মামলা দায়ের জন্য বলা হয়েছে। তবে এ ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য যারা চাপ দিয়েছে অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেবি
মন্তব্য করুন