সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক (ডিসি) এস.এম মোস্তফা কামাল সৌভাগ্যক্রমে খুনিদের হাত থেকে বেঁচে যাওয়া চার মাসের শিশু মারিয়ার দায়িত্ব নিয়েছেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে গিয়ে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শিশুটির দায়িত্ব নেন তিনি। আপাতত শিশুটিকে দেখভালের জন্য স্থানীয় নারী ইউপি সদস্য (মেম্বার) নাসিমা খাতুনের কাছে বুঝিয়ে দেন।
সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক (ডিসি) এস.এম মোস্তফা কামাল বলেন, এক পরিবারের স্বামী-স্ত্রী, ছেলে-মেয়েসহ চারজন নির্মম হত্যার শিকার হয়েছেন। তবে চার মাসের এক শিশু সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যায়। খুনিরা শিশুটিকে হত্যা করেনি।
তিনি আরও বলেন, মায়ের গলাকাটা মরদেহের পাশে কাঁদছিল শিশু মারিয়া। শিশুটির এখন আর আপনজন বলতে কেউ নেই। যে কারণে আমি শিশুটির দায়িত্ব নিয়েছি। আপাতত দেখভালের জন্য স্থানীয় ইউপি সদস্যকে দায়িত্ব দিয়েছি দেখভালের। শিশুটির পরিবারের কোনও স্বজন শিশুটির দাবি করলে আইনগতভাবে সমাধান করা হবে। শিশুটি এখন থেকে আমার তত্ত্বাবধানে থাকবে।
আজ বৃহস্পতিবার ভোরে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় একই পরিবারের চারজনকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের খলসি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, খলসি গ্রামের শাহাজন আলীর ছেলে হ্যাচারি মালিক শাহিনুর রহমান (৪০), তার স্ত্রী সাবিনা খাতুন (৩০), ছেলে সিয়াম হোসেন (৯) ও মেয়ে তাসনিম (৬)।
নিহত শাহিনুর রহমানের ছোট ভাই রায়হানুল ইসলাম জানান, বাড়িতে মা ও বড় ভাইয়ের পরিবারের চারজনসহ ছয়জন থাকতেন। গতকাল আত্মীরে বাড়িতে ছিলেন মা। তিনি ছিলেন পাশের ঘরে। ভোরে বাচ্চাদের গোঙানির শব্দ শুনে তাৎক্ষণিক এগিয়ে গিয়ে দেখেন ঘরের বাইরে থেকে আটকানো। দরজা খুলে দেখা যায় মরদেহ।
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মির্জা সালাহউদ্দিন জানান, নিজেদের ঘরের মধ্যে চারজনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। এদের মধ্যে শাহিনুরের পা বাঁধা ছিল এবং তাদের চিলেকোঠার দরজা খোলা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে ছাদের চিলেকোঠার দরজা দিয়ে হত্যাকারীরা ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে।
আরও পড়ুন:
এতো বড় ঘরটিতে চার মাসের মারিয়া আর কেউ নেই
জেবি