ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার চাঁদবা গ্রামের মেয়ে স্বর্ণালী। তিন মাস পূর্বে একই উপজেলার পার্শ্ববর্তী গ্রাম আজমতনগরের আব্দুল মালেকের ছেলে সোহান প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে স্বর্ণালীকে। বিয়ের ১৬ দিনের মাথায় একই উপজেলার কাঁঠালিয়া সুন্দরপুর গ্রামের নুরু মিয়ার মেয়েকে দ্বিতীয় বিয়ে করে সোহান। তারপর থেকে স্বর্ণালীর ওপর যৌতুকের দাবিতে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করে আসছিল সোহান ও তার পরিবার। গেলো পাঁচ অক্টোবর সকালে স্বর্ণালীকে তার স্বামী সোহান ও পরিবারের লোকজন নির্যাতন করে হত্যার পর মুখে বিষ ঢেলে হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায়।
পরে স্বর্ণালীর পরিবারের লোকজন লোকমুখে জানতে পেরে হাসপাতালে গিয়ে মৃত অবস্থায় দেখতে পায় তাদের মেয়েকে।
এ ঘটনায় নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ এনে ঝিনাইদহ বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা করেন স্বর্ণালীর বাবা তরিকুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে প্রতিবেশী লিমা খাতুন নামের এক মহিলা বলেন, ‘স্বর্ণালীর মরদেহের বিভিন্ন স্থানে সিগারেটের আগুনের ছ্যাকা দেয়া দাগ দেখা গেছে।
তাছাড়া তিনি হাসপাতালে গিয়ে স্বর্ণালীর মুখে বিষ দেখতে পান। কিন্তু জানতে পারেন ওয়াশ করার সময় কোনও বিষ বের হয়নি এবং সেসময় তার মৃত্যু হয়। তাই তারা এই মৃত্যুর সঠিক তদন্ত করে বিচার দাবি করেন।
এ ঘটনায় স্থানীয় নুরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বলেন, তিন মাস আগে প্রেমের ফাঁদে ফেলে স্বর্ণালীকে বিয়ে করার ১৬ দিনের মাথায় সোহান দ্বিতীয় বিয়ে করে। তারপর থেকে ওই পরিবারে অশান্তি সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে জানতে পারেন এই সোহান বিভিন্ন মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতারিত করে আসছে’।
স্বর্ণালীর বাবা তরিকুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ের মুখের বাম গালে ও বাম হাতে সিগারেটের আগুনের স্পষ্ট দাগ দেখতে পেয়েছি। যার ছবি আমি সংগ্রহ করে রেখেছি। আমার মেয়েকে নিয়ে যে ঘটনা ঘটিয়েছে সোহান ও তার পরিবার এর সঠিক তদন্ত করে শাস্তির জোর দাবি করছি।
জেবি