লক্ষ্মীপুরে মেয়াদবিহীন ঝুঁকিপূর্ণ গ্যাস সিলিন্ডারে অবাধে চলছে যানবাহন। এসব মেয়াদোত্তীর্ণ সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হলে এর ভয়াবহতা তাজা বোমার চেয়েও কোনও অংশে কম নয়। এতে করে অহরহ ঘটেছে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ। বেশিরভাগ পরিবহন চালকরাই জানেন না, গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারের নিয়ম কানুন। জেলায় গ্যাস সিলিন্ডারে চলাচল করছে ছোট-বড় প্রায় ১৫ হাজার যানবাহন। বেশির ভাগ যানবাহনেরই গ্যাস সিলিন্ডার মেয়াদোত্তীর্ণ বলে অভিযোগ রয়েছে।
নিয়ম মতো পাঁচ বছর পর পর গ্যাস সিলিন্ডার পরীক্ষা করানোর নির্দেশনা থাকলেও তা মানছে না মালিক ও চালকরা। গ্যাস সিলিন্ডার মালিকরা ভালো মানের গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহ করছে না বলেই দুর্ঘটনা ঘটছে। নিম্মমান ও মেয়াদোত্তীর্ণ গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে চলছে যানবাহন। পাশাপাশি বাসা বাড়িতেও একই সমস্যা।
এছাড়া গ্যাস সিলিন্ডারে মেয়াদকাল সম্পর্কে জানেন না অনেক চালক। তাদের অভিযোগ, না জেনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চালাতে হচ্ছে যানবাহন। এসব বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও তদারকি করা হয় না। বিআরটিএ যানবাহন না দেখে প্রতিবছর অর্থের বিনিময়ে ফিটনেস দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন চালক ও পরিবহন মালিকরা।
লক্ষ্মীপুর বিআরটিএ সহকারী পরিচালক অনুজ চন্দ্র জানান, ফিটনেস করার সময় যানবাহনে গ্যাস সিলিন্ডার মেয়াদ ও রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট ঠিক আছে কিনা যাচাই করে কাগজপত্র দেয়া হয়। প্রায়ই ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হয়। প্রতিবছর যানবাহন-চালক বা মালিকরা যখন গাড়ির ফিটনেস করতে আসে, তখনই সার্টিফিকেট চেক করা হয়। পাঁচ বছর পার হওয়ার পর রিটেস্টটিন সার্টিফিকেট দেখি। সার্টিফিকেট ও গ্যাস সিলিন্ডার ঠিক থাকলে গাড়ির ফিটনেস ছাড়পত্র দেয়া হয়।
পরিবহন, সংরক্ষণ, নির্ধারিত তাপমাত্রা ও নিদিষ্ট মেয়াদোর্ত্তীণের পরেও বাজারজাত করার কারণে এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেই চলছে। নিয়মনীতি মেনে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করলে কিছুটা হলেও দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব হবে। তাই সবাইকে সচেতন হয়ে ব্যবহারের পরামর্শ দেন তিনি।
জেবি