হবিগঞ্জ শহরের সিনেমা হল রোডে ‘সিহাব রেস্ট হাউজে’ আলমগীর মিয়ার (৩০) মৃত্যুর রহস্য ৫ মাস পর উদঘাটন হয়েছে। তার দ্বিতীয় স্ত্রী তানিয়া আক্তার আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দি দিলে এ রহস্য উদঘাটন হয়। গত সোমবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তার জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গেল ২৩ জুলাই রাতে ওই হোটেলের ৩য় তলার ৩০১ নং রুমে মদের বোতলে বিষ মিশিয়ে আলমগীরকে খাওয়ানো হয়। এর আগে রাতে ওই হোটেলে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে অবস্থান করেন এবং আলমগীরের সঙ্গে বেশ কয়েকবার শারীরিক সম্পর্কও করেন তানিয়া। এক পর্যায়ে ২৪ জুলাই সকালে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৌসুমি ভদ্র তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত আলমগীর মিয়া হবিগঞ্জ শহরঘেষা সুলতান মাহমুদপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে ও জেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসের স্ট্যাম্প ভেন্ডার।
যে কারণে আলমগীরকে হত্যা করে তানিয়া
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম বলেন, ভালোবেসে এফিডেভিট করে দুজন বিয়ে করেন। কিন্তু তানিয়াকে স্ত্রীর মর্যাদা না দেয়ায় আলমগীরের প্রতি ক্ষুব্ধ হয় তানিয়া। এক পর্যায়ে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী কৌশলে তাকে নিয়ে ওই হোটেলে অবস্থান করে। রাতে দুইজন শারীরিক মিলনে লিপ্ত হবার আগে তানিয়া কৌশলে আলমগীরকে মদ খাওয়ায়। ওই মদের বোতলে সে বিষ মিশিয়ে দেয়। আর এই বিষপান করে পরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে আলমগীর। হাসপাতাল থেকে সদর থানার ওসি তানিয়াকে আটক করে কোর্টে প্রেরণ করেন।
অপরদিকে আলমগীরের বাবার সন্দেহ হয় তার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ বিষয়ে আলমগীরের বাবা হাজী আব্দুর রহিম বাদী হয়ে তানিয়াকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। পুলিশ তানিয়াকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রাথমিকভাবে তিনি হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
রবিউল ইসলাম আরও বলেন, পুলিশ তদন্তকালে জানতে পারে ইতোপূর্বে তানিয়ার অন্যত্র বিয়ে হয়েছিল। তার দুইটি সন্তান আছে। ওই স্বামীকে তালাক দিয়ে আলমগীরকে বিয়ে করেন। তানিয়া বানিয়াচং উপজেলার ইকরাম গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছে। এদিকে আলমগীরও আরেকটি বিয়ে করেছে এবং সন্তান রয়েছে।
দিনের পর দিন শারীরিক সম্পর্ক, বিয়ের কথা বলতেই যে কাণ্ড প্রেমিকের
এসএস