স্বামী প্রবাসে থাকায় দেবর দিতো কুপ্রস্তাব, ভাসুর করলো ধর্ষণ
নেত্রকোনায় গৃহবধূকে ধর্ষণের পর নির্যাতনের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছেন নির্যাতিতা মহিলা। ভাসুর কর্তৃক ধর্ষণের শিকার বিউটি আক্তার জুঁই নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর পূর্বপাড়া গ্রমের মৃত মজিবুর রহমানের মেয়ে। ২০১১ সালে কেন্দুয়া উপজেলার সাজিউড়া বারিয়াগাতী গ্রামের রইছ উদ্দিনের মেজ ছেলে মো. হারেছ মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয়। ২০১৮ সালে হারেছ মিয়া স্ত্রী, এক পুত্র ও এক কন্যা রেখে মালদ্বীপে যান।
স্বামী মালদ্বীপে যাওয়ার পর থেকেই পরিবারের সদস্যদের দ্বারা গৃহবধূর ওপর বিভিন্ন সময় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চলে আসছিল। প্রবাসী স্বামীকে বারবার বলার পরেও কোনও উপায় পাননি তিনি।
ধর্ষণের শিকার বিউটি আক্তার জুঁই আরটিভি অনলাইনকে জানান, আমার স্বামী বিদেশ যাওয়ার পর থেকে আমার স্বামীর পাঠানো সমস্ত টাকা পরিবারের সবাই মিলে আত্মসাৎ করে আসাছিল। আমি ও আমার সন্তানদের ভরণ পোষণের কোনও টাকা না দেওয়ায় আমি প্রতিবাদ করায় আমাকে প্রায় সময়েই গালমন্দ ও মারপিট করত। তা আমি মুখ বুজে সহ্য করে আসছিলাম। স্বামী বিদেশ থাকার কারণে আমার ভাসুর আঙ্গুর মিয়া ও দেবর তামিম ইকবাল রাসেল প্রায় সময়েই আমাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। তাদের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ও টাকা পয়সা আত্মসাৎ করার পায়তারায় বাড়ি থেকে আমাকে তাড়ানোর জন্য আমার ভাসুরসহ পরিবারের সবাই প্রবাসী স্বামীকে আমার চরিত্রের ব্যাপারে বলে বিষিয়ে তোলে। গেলো ২১ নভেম্বর আমি আমার মেয়েকে নিয়ে ঘরে ঘুমিয়ে থাকলে আমার ভাসুর আঙ্গুর মিয়া আমার ঘরে ডুকে মুখ কাপড় দিয়ে চেপে ধরে ওড়না দিয়ে হাত বেঁধে আমাকে জোর করে ধর্ষণ করে।
আরও পড়ুন...
- ধর্ষণ শেষে ফিরে যাওয়ার সময় চাচাতো ভাইকে জাপটে ধরলো তরুণী
- ‘প্রবাসী প্রেমিক’ এর সাথে দেখা করতে গিয়ে দেখেন স্বামী!
- বাবা ধর্ষণ করে, মা-হারা দুই কন্যা জানালো নানীকে
- নাচের পর পাশের বাড়িতে নিয়ে নৃত্যশিল্পীকে পালাক্রমে ধর্ষণ
এ ঘটনা আমার শ্বশুর, শাশুড়ি ও পরিবারের অন্যদেরকে জানালে সবাই আমাকে চরিত্রহীন বলে বেধড়ক মারপিট করে। সুবিচারের জন্য আমি কেন্দুয়া থানায় মামলা দায়ের করেছি। বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আমাকে ও আমার বাবার বাড়ির পরিবারের সবাইকে মোবাইলে হুমকি দিচ্ছে। আর যদি মামলা তুলে না নেই, তাহলে তালাক দিবে বলেও আমার স্বামী আমাকে ফোন করেছে।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুলিশ কর্মকর্তা কাজী শাহ্ নেওয়াজ জানান, এ বিষয়ে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
জেবি/পি
মন্তব্য করুন