বাবার টাকা আর প্রশ্রয়েই অপরাধের সীমা ছাড়িয়েছে দিহান ও তার ভাই: গ্রামবাসী
রাজধানীর কলাবাগানে ‘ও’ লেভেল পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত ইফতেখার ফারদিন দিহানের বাড়ি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার রাতুগ্রাম গ্রামে। তার বাবার নাম আব্দুর রউফ সরকার। তিনি অবসরপ্রাপ্ত জেলা রেজিস্ট্রার। তার বড় ভাইয়ের নাম সুপ্ত। মেঝো ভাই নিলয় ঢাকায় একটি ব্যাংকে চাকরি করে। রাতুগ্রাম ছাড়াও জেলার বাগমারা উপজেলার তাহেরপুরে তাদের আরও একটি বাড়ি আছে। রাজশাহী শহরেও আছে দু’টি বাড়ি। এর একটি সাগরপাড়া এলাকায়। আরেকটি বাড়ি মহানগরীর পদ্মা আবাসিক এলাকায়। ঢাকায়ও রয়েছে ফ্ল্যাট। বাবার এই অঢেল সম্পত্তি আর প্রশ্রয়ে দিহান ও তার বড় ভাই একের পর এক অপরাধে সম্পৃক্ত হয়ে পড়ছে।
২০১১ সালে দিহানের বড় ভাই সুপ্ত রাজশাহী নগরীর হোসেনীগঞ্জের দরিদ্র পরিবারের মেয়ে রুনা খাতুনকে বিয়ের পর অত্যাচার করে মুখে বিষ ঢেলে হত্যা করে বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে বাবা আব্দুর রউফ সরকার সে সময় সাব-রেজিস্ট্রার থাকায় টাকার বিনিময়ে ঘটনাটা ধামাচাপা দেয় বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। রাতুগ্রামের মানুষ জানান, অভিযুক্ত দিহান ও সুপ্তের অপরাধ বাবার প্রশ্রয়ে সীমা ছাড়িয়েছে।
- আরো পড়ুন...
- আমার ১৮ বছরের ছেলে কিভাবে এমন কাজ করলো: দিহানের বাবা
- ছেলের সর্বোচ্চ শাস্তি চান দিহানের মা সানজিদা
- ২০২০ সালে ধর্ষণের শিকার ১০৭৪ নারী (ভিডিও)
- আনুশকার শরীরে মিলেছে রহস্যজনক ‘ফরেন বডির’ আলামত
স্থানীয়রা জানান, বড় ছেলে সুপ্তকে নিয়ে আবদুর রউফ সরকার গ্রামে থাকেন। আর মা সানজিদা সরকার শিল্পীর সঙ্গে দিহান ও তার মেজ ভাই নিলয় ঢাকায় থাকেন। নিলয় একটি ব্যাংকে চাকরি করেন। ছোটবেলা থেকেই দিহান রাজধানী ঢাকায় থাকেন। তাই তার সম্পর্কে গ্রামের মানুষের ধারণা কম। তবে তার বড় ভাই সুপ্তর ব্যাপারে ছিল তাদের ধারণা নেতিবাচক।
এর আগেও রাজশাহীতে থাকাকালীন সময়ে ২০১১ সালে দিহানের বড় ভাই সুপ্ত রাজশাহী নগরীর হোসেনীগঞ্জের দরিদ্র পরিবারের মেয়ে রুনা খাতুনকে বিয়ের পর অত্যাচার করে মুখে বিষ ঢেলে হত্যা করে বলে অভিযোগ রয়েছে।
রাজশাহী দুর্গাপুর উপজেলার দুই নম্বর কিসমত গণকৈর ইউনিয়নের মেম্বার ফজলুর রহমান বলেন, ধর্ষণের মতো ঘটনা কারোরই কাম্য না। এ ধরনের ঘটনা আমরা দেখতে চাই না। দিহান এই গ্রামের আবদুর রউফ সরকারের ছেলে। সে ধর্ষণের পর হত্যার মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে তদন্ত স্বাপেক্ষে যারা প্রকৃত অপরাধী বা দোষী তাদের শাস্তি হোক এটাই আমরা চাই।
জেবি
মন্তব্য করুন