মানকিগঞ্জে স্ত্রীর পরকীয়া দেখে ফেলায় ইদ্রিস নামে এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে। মামলার আসামি ড্রেজার ব্যবসায়ী মো. ফরহাদ হোসেন (৪৫) গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে মানকিগঞ্জ চার নম্বর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পারভেজ আহমেদের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দিতে ফরহাদ বলেন, নিহত রিকশাচালক ইদ্রিস আলীর সঙ্গে ফরহাদের সম্পর্ক ছিলো। তার স্ত্রীর সঙ্গে একাধিকবার অবৈধ মেলামেশা হয় তার। ঘটনা হাতেনাতে ধরে ফেলেন ইদ্রিস আলী নিজেই। এরপর থেকে শত্রুতা সৃষ্টি হয়। পরে ইদ্রিস আলীকে (৫০) পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়।
গেলো ৪ জানুয়ারি রাতে পরিকল্পিতভাবে ইদ্রিস আলীকে পার্শ্ববর্তী আন্ধারমানিক গ্রামের অতুল মণ্ডলের পতিত জমির নির্জন স্থানে নিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যার পর ফরহাদ নিজের চারজন প্রতিপক্ষের মোবাইল ফোন নম্বর ইদ্রিস আলীর পকেটে রেখে যান। হত্যার পর ওই দিনই ইদ্রিস আলীর ছেলে নয়ন হোসেন বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেন।
পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) টুটুল জানান, আসামি ফরহাদ ও তার এক সহযোগী মিলে গলায় মাফলার পেঁচিয়ে এ হত্যার ঘটনা ঘটায়। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর হত্যাকারীরা পালিয়ে যায়।
ফরহাদের সঙ্গে স্থানীয় চার ইয়াবা কারবারির বিরোধের জের ধরে তাদের ফাঁসাতে ওই চারজনের মোবাইল নম্বর নিহত রিকশাচালকের পকেটে ঢুকিয়ে দেন। পরে ওই এলাকার রাস্তার পাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনার ছয় দিনের মাথায় আসামি ফরহাদকে আটক করে পুলিশ।
জেবি