মৃদু শৈত্যপ্রবাহের মধ্যে মাঘের শীত কামড় বসিয়েছে জনজীবনে। শীতের প্রকোপ মাঝে কিছুটা কম থাকলেও গত কয়েক দিনে কনকনে ঠাণ্ডা আর ঘন কুয়াশায় অনেকটাই থমকে দাঁড়িয়েছে জীবনযাত্রা। আজ বুধবার রোদের দেখা মিলবে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। যশোরসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে তাপমাত্রা কমে গেছে কয়েক ডিগ্রি।
তবে কুয়াশা ঠেলে সূর্য চোখ মেলেছে দুপুরে। তারপরেও সেটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হচ্ছে না। জেলার আবহাওয়া অফিস জানিয়েছেন, আজ যশোরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক শূন্য। তবে সকাল থেকে কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের কারণে শীত বেশি পড়েছে। শুধু রাত নয় দিনেই মানুষের সঙ্গী হয়েছে গরম কাপড়। অন্যদিনের তুলনায় শহরে মানুষের চলাচল কমে গেছে। শীত কুয়াশা কোনও কিছুতেই কৃষককে ঘরে রাখা যাচ্ছে না। তারা মাঠে ছুটছেই।
যশোর মেডিকেল কলেজের প্রভাষক নামজুস সাদিক রাসেল জানান, বেশি ঠাণ্ডা পড়লে মানুষ সর্দি, কাশি, জ্বর ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে।
- আরো পড়ুন...
- পাঁচ বিভাগে হতে পারে বৃষ্টি, আসছে শৈত্যপ্রবাহ
- ১৫ জেলায় শৈত্যপ্রবাহ, থাকবে আরও চারদিন
- তাপমাত্রা কমেছে, হতে পারে শৈত্যপ্রবাহ
তবে কুয়াশায় ফসলের তেমন কোনও ক্ষতি হবে না বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। কৃষি অধিদপ্তরের উপপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, পৌষ মাসে ঠাণ্ডা ও কুয়াশা পড়লে ফসলের ক্ষতি হতো। এখন আর হবে না। ধানের চারা বড় হয়ে গেছে। বিশেষ করে সরিষার ফুলে জাব পোকা লাগার আশঙ্কা থাকে। সরিষার ফুল ফুটে গেছে।
শীতে বিশেষ করে ছিন্নমূল মানুষের কষ্ট অবর্ণনীয়। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন স্থানে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা সামান্য বলে অভিযোগ শীতার্ত মানুষের।
আবহাওয়া অফিস বলছে, শীত আর মৃদু বাতাস থাকবে আরও কয়েকদিন। আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বাড়তি একটা অংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। ২০-২১ তারিখের দিকে হালকা বৃষ্টি হতে পারে।
এসএস