ঢাকাবৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১

৮ মাসেও অপসারণ হয়নি ঘূর্ণিঝড় আম্পানে হেলে পড়া গাছ

যশোর প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

মঙ্গলবার, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ , ০৯:৪১ এএম


loading/img
৮ মাসেও অপসারণ হয়নি ঘূর্ণিঝড় আম্পানে হেলে পড়া গাছ

যশোরের ঝিকরগাছা থেকে বাঁকড়া সড়কের আবুল ইসলাম সড়কের বাঁকড়া হাজিরবাগ আইডিয়াল গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের পাশে ও সাদিপুর বকুলতলা বাজারের পাশে দুটি স্থানে তিনটি গাছ রাস্তার ওপর হেলে রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আম্পানে গাছগুলো রাস্তার ওপরে হেলে পড়েছিল কিন্তু গত ৮ মাসেও গাছগুলো অপসারণ করেননি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। 

বিজ্ঞাপন

এদিকে এই সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত সরকারের কর্মকর্তারা চলাচল করলেও গাছগুলো অপসfরণের জন্য কেউ পদক্ষেপ নেয়নি। গত বছরের মার্চ মাসের ২০ তারিখে দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় আম্পানে অনেক ক্ষতি হয়েছিল। রাস্তার ওপরে শত শত গাছ পড়েছিল। চলাচলের উপযোগী করার জন্য সেসব গাছ তাৎক্ষণিকভাবে অপসারণ করা হয়েছিল। কিন্তু ঝিকরগাছা থেকে বাঁকড়া আবুল ইসলাম সড়কের বাঁকড়া হাজিরবাগ আইডিয়াল গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের পাশে ও সাদিপুর বকুলতলা বাজারের পাশে দুটি স্থানে তিনটি গাছ রাস্তার ওপরে হেলে থাকলেও সে গাছগুলো অপসারণ করেননি কর্তৃপক্ষ। 

গত ৮ মাস ধরে স্থানীয়রা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানিয়েও কোন ফলাফল পায়নি। গাছ গুলো হেলে থাকার কারণে রাস্তা দিয়ে বড় গাড়ি চলাচলে সমস্যা হচ্ছে এবং রাস্তা নষ্ট হচ্ছে। গাছগুলো যে বিপজ্জনক অবস্থায় আছে, তাতে করে যে কোনও সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে বাঁকড়া হাজিরবাগ আইডিয়াল গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক এনামুল কবীর বলেন, এই সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত সরকারের স্থানীয় কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা চলাচল করছে। সবাই দেখছে কিন্তু গাছ অপসারণের জন্য কেউ কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।

হাজিরবাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিন্টু বলেন, সরকারি গাছ আমি ইচ্ছা করলেই মারতে পারি না। বিষয়টি নিয়ে আমি প্রতিটি উপজেলা মাসিক মিটিংয়ে আলোচনা করেছি। কর্তৃপক্ষ আমাকে অপসারণ করার নির্দেশ দেননি। যে কারণে আমি কিছু করতে পারছি না। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরাফাত রহমান বলেন, গাছটি কোন বিভাগের সেটি আমাকে দেখতে হবে। নায়েব পাঠিয়ে দেখব এবং অপসারণের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

বিজ্ঞাপন

জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার এম এ মনজু বলেন, সরকারি গাছ অপসারণের জন্য সরকারি বিধি আছে। আমরা গাছ দেখেছি। টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গাছগুলো অপসারণ করা হবে।

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম পিকুল বলেন, ইউএনও যদি লিখিতভাবে অভিযোগপত্র দেন যে, গাছের জন্য যাতায়াতের সমস্যা হচ্ছে। তাহলে সার্ভেয়ার পাঠিয়ে দ্রুত গাছ কাটার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জিএম/পি
 

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |