ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তি গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নিয়ে বিএনপি নেতা ও যুবদল নেতার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় বিএনপির নেতার বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট শেষে অগ্নিসংযোগ করে বহিষ্কৃত যুবদলের নেতার পক্ষের সমর্থকরা। বৃহস্পতিবার রাত ৯টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত অন্ধকারের মধ্যে টর্চ লাইটের আলো জ্বালিয়ে এ সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনার পর এখনও এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজয়নগর থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম।
স্থানীয়রা জানান, বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের বুধন্তি গ্রামের ভূঁইয়া গোষ্ঠীর নেতৃত্ব রয়েছেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য চমক ভূঁইয়া। একই গ্রামের বদা গোষ্ঠীর নেতৃত্বে রয়েছেন যুবদল নেতা মিজানুর রহমান ওরফে মিজান মিয়া। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপি নেতা চমক ভূঁইয়া ও যুবদল নেতা মিজানুর এবং তার পক্ষের লোকজনের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে যুবদল নেতা মিজানুর, তার গোষ্ঠী ও পক্ষের লোকজন বিএনপির নেতার বাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে বিএনপির নেতার পক্ষের লোকজনও পাল্টা হামলা চালায়। দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালীন বিএনপির নেতা চমক ভূঁইয়ার বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট শেষে অগ্নিসংযোগ করা হয়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন।
খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। পরে বিজয়নগর ও হবিগঞ্জের মাধবপুর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আহতরা হলেন চমক ভূঁইয়া-(৪৮), জাহাঙ্গীর আলম-(৫২), আশিক মিয়া- (৩৩) , ফরিদ মিয়া-(৫০), হান্নান মিয়া (৩৮), ইয়াসিন মিয়া- (৪৫) এবং জহুরুল ইসলাম। আহতদের মধ্যে জাহাঙ্গীর আলমের দুই পা ভেঙে গেছে এবং আশিক মিয়ার চোখে আঘাত লেগেছে। তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ বিষয়ে বিজয়গর উপজেলার ইসলামপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রাজীব আহমেদ বলেন, পূর্ব বিরোধের জেরে মিজান ও চমক ভূঁইয়ার পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। চমক ভূঁইয়ার বাড়ির তিনটি বসতঘরে হামলা-ভাঙচুরসহ বাড়ির বনের কুঞ্জি ও কম্বাইন হার্ভেস্টারে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিজয়নগর থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, কোনো পক্ষই এখন পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ করেনি। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। তবে অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয়তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায়, অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আরটিভি/এমকে/এআর