যশোরের চৌগাছায় যুবলীগের কমিটি নিয়ে বিরোধে দুই গ্রুপের এলোপাতাড়ি কোপে আকরাম হোসেন (৩৩), রোকেয়া বেগম (৫০)ও শিপন হোসেন নামে তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল রোববার দিনগত গভীর রাতে যশোর চৌগাছা উপজেলার ফুলসরা ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামে। আহতদের মধ্যে আকরাম হোসেন ও তার মা রোকেয়া বেগম যশোর জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শিপনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহত আকরাম হোসেন ও তার মা রোকেয়া বেগম। তার বাবার নাম শাহাদ আলী। অপরজন একই গ্রামের মতিয়ার মণ্ডলের ছেলে শিপন হোসেন।
আহত আকরাম হোসেন বলেন, আমি যুবলীগের সদস্য এবং ফুলসরা ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদি মাসুদ চৌধুরীর গ্রুপ করি। খুব শিগগির ফুলসরা ইউনিয়ন যুবলীগের কমিটি হবে। আমি সভাপতি পদে ফরম জমা দিয়েছি। আমার প্রতিপক্ষ কবীর হোসেন। যুবলীগের দায়িত্ব যাতে না নিতে পারি সে কারণে কবীর হোসেন, তার ভাই শিপন হোসেন ,আমিরুল রাসেল ও নাজমুল গভীর রাতে আমাকে ঘুম থেকে তুলে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। ঠেকাতে গেলে আমার মাকেও মাথায় ও ঘাড়ে কোপায়। পরে স্থানীরা আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
বক্তব্য নেওয়ার জন্য ফুলসরা ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদি মাসুদের মোবাইলফোনে বারবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
জানতে চাইলে ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এসএম মান্নান বলেন, ফুলসরা ইউনিয়ন যুবলীগ নিয়ন্ত্রণ করে কবীর হোসেন, আকরাম হোসেনরা। তারা যুবলীগের কেউই না। গত রাতে টাকা-পয়সা লেনদেন নিয়ে দুই গ্রুপের সঙ্গে বিরোধের কারণে এই অবস্থা। শিপনের অবস্থা খুবই খারাপ; তাকে খুলনায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার আহম্মেদ তাকে শামস একই বিভাগের ডাক্তার দেলোয়ার হোসেনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, রাত তিনটার পরে শিপন হোসেন, আকরাম হোসেন ও রোকেয়া বেগম নামে তিনটি পাবলিক অ্যাসাল্ট রোগী আসে। তার মধ্যে শিপনের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। রাতেই তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। আকরাম ও রোকেয়া বেগমকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, তাদের অবস্থাও খুব একটা ভালো না।
জানতে চাইলে চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম সবুজ আরটিভি নিউজকে বলেন, রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেবি