আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি যশোর পৌরসভার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে কি হবে না তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের এক আদেশে নির্বাচন স্থগিত করা হয়।
ওই আদেশ হাতে পেয়ে নির্বাচন কমিশন বৃহস্পতিবার যশোর পৌরসভার নির্বাচন স্থগিত করে।
অবশ্য বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের দেওয়া তিন মাসের স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোটের চেম্বার আদালত স্থগিত করেছেন।
ফলে নির্ধারিত দিনে ভোট হবে কি হবে না তা নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বলছেন, চেম্বার জজের আদেশের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত ভোটগ্রহণ স্থগিতই থাকবে।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ যশোর পৌরসভার নির্বাচনের ওপর তিন মাসের স্থগিতাদেশ দেন। সীমানা নির্ধারণ ও ভোটার তালিকা সংশোধন ইস্যুতে রিটটি দায়ের হয়েছিল। পরে ওই স্থগিতাদেশ স্থগিত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালতে আবেদন করেছিল নির্বাচন কমিশন। এরপর আজ হাইকোর্টের দেওয়া তিন মাসের স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত স্থগিত করেছেন।
এদিকে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের পর নির্বাচন কমিশন যশোর পৌরসভার নির্বাচন স্থগিত করে একটি আদেশ জারি করে। ১৮ ফেব্রুয়ারি এ আদেশ জারি করে নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মাদ মোরশেদ আলম; যা ইতোমধ্যে যশোর নির্বাচন অফিসে এসে পৌঁছেছে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হুমায়ূন কবীর বলেন, নির্বাচন কমিশন যে নির্দেশনা দিয়েছেন সে মোতাবেক নির্বাচন স্থগিত করা হচ্ছে। হাইকোর্টে নতুন কোনও আদেশ হলে সে বিষয়ে যতক্ষণ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন কোনও নির্দেশনা না দেবেন ততক্ষণ নির্বাচন স্থগিতই থাকবে।
একের পর এক নাটকীয়তার কারণে ভোটাররা বুঝতে পারছেন না, ২৮ তারিখে আসলেই নির্বাচন হচ্ছে কি হচ্ছে না।
গেলো ৯ ফেব্রুয়ারি যশোর পৌরসভার নির্বাচন উপলক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হায়দার গনি খান পলাশ, বিএনপি মনোনিত দলটির নগর সভাপতি সাবেক মেয়র মারুফুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মোহাম্মাদ আলী সরদার। স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রহমান কাকন মৃধা। এছাড়া, নয়টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৬৫ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১৩ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন।
মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ে বিএনপি মনোনীত নগর বিএনপির সভাপতি মারুফুল ইসলাম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রহমান কাকন মৃধার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং অফিসার। এনসিসি ব্যাংকে খেলাপি ঋণের কারণে মারুফুল ইসলামের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছিল। মারুফুল ইসলামের দাবি, গেলো ২৪ জানুয়ারি টাকা পরিশোধ করেন তিনি। ২ ফেব্রুয়ারি ‘টাকা পরিশোধ হয়েছে মর্মে চিঠি হাতে পান। নিয়ম অনুযায়ী এনসিসি ব্যাংক ওই ঋণ পরিশোধের চিঠি বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠাবে। এ সংক্রান্ত কাগজপত্র জমা দিলেও রিটার্নিং অফিসার তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিলেন। এরপর তিনি উচ্চ আদালতে গিয়ে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
এদিকে, ২৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতীক বরাদ্দও করা হয়েছে। প্রার্থীরা জোরেশোরে প্রচারণাও করছেন।
জেবি