নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় রসুলপুর রেল কোয়ার্টারে পরিবার নিয়ে বাস করতেন নূর মোহাম্মদ। কিন্তু তার শিশু সন্তান মোবাইলে কার্টুন দেখতে চাওয়ায় শ্বাসরোধে হত্যা করেন বাবা। ১০ মাস আগের হত্যার ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু পিবিআইয়ের তদন্তে মূল রহস্য উদঘাটন হয়েছে।
শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায় রংপুরের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
পিবিআইয়ের তথ্যমতে, সৈয়দপুরের রসুলপুর রেল কোয়ার্টারে পরিবার নিয়ে থাকতেন নুর মোহাম্মদ। গত বছরের ৩ এপ্রিল জুমার নামাজ শেষে স্ত্রী ও দুই সন্তান নূপুর (৮) ও আবু সোহানকে (৭) নিয়ে বাড়িতে টিভি দেখছিলেন নূর মোহাম্মদ। দুই সন্তানের ঝগড়ার একপর্যায়ে বড় মেয়ে নূপুর কার্টুন দেখতে বাবার মোবাইলটি বারবার চাইলে তা না দেওয়ায় বাবাকে গালি দেয় মেয়ে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নিজের মেয়ের গলা চেপে ধরেন নূর মোহাম্মদ। একপর্যায়ে শ্বাসরোধে নূপুর মারা যায়। ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে তার লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। ওই দিন সৈয়দপুর থানা-পুলিশ অপমৃত্যু মামলা করে ময়নাতদন্তে নামে। অপমৃত্যু মামলাটি ১০ মাস পর রংপুর পিবিআই’কে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। পিবিআই তদন্ত দায়িত্ব পাওয়ার পর ১১ দিনের মাথায় প্রকৃত মৃত্যুর কারণ উদঘাটন করে।
রংপুর পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার এ বি এম জাকির হোসেন বলেন, সৈয়দপুর থানা-পুলিশ অপমৃত্যু মামলা করে ময়নাতদন্তের জন্য ১০ মাস পর মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্ধে দেওয়ার পর মাত্র ১১ দিনে মূল রহস্য উদঘাটন করে।
মেয়েসন্তানকে হত্যার দায়ে নূর মোহাম্মদকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে নীলফামারী জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
এফএ