মহামারি করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বগতি রোধে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো জনসমাগম নিষেধ করেছে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন। এ কারণে গতবারের মতো এবারও পণতীর্থ গঙ্গাস্নান ও শাহ্ আরফিনের ওরস অনুষ্ঠান নিষেধ করা হয়েছিল। কিন্তু সরকারি এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই পুণ্যস্নান করেছেন হাজার হাজার সনাতন ধর্মাবলম্বীর মানুষ।
বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) রাতে হাজার হাজার সনাতন ধর্মাবলম্বীর মানুষ হিন্দু ধর্মের সাধক ও বারুণি স্নানের প্রবর্তক শ্রী অদ্বৈত আচার্য্যের জন্মস্থান যাদুকাটা নদীতীরে নবগ্রামে অবস্থান করেন। রাত শেষে শুক্রবার ভোর শুরু হতেই হাজার হাজার ভক্ত-অনুসারীরা করোনার স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে স্নান করেন যাদুকাটা নদীতে। প্রশাসন চেষ্টা করেও পুণ্যস্নান থেকে বিরত রাখতে পারেনি তাদের।
আরও পড়ুনঃ ১৪ এপ্রিল থেকে সর্বাত্মক লকডাউন
কয়েকশ বছর ধরেই যাদুকাটা নদীতে গঙ্গারূপী তীর্থ মনে করার ধারনা থেকে মনোবাসনা পূরণের উদ্দেশ্যে স্নান উৎসব হয়ে থাকে। ঠিক একই সময়ে পাশের মুসলিম সম্প্রদায়ের সাধক শাহ আরেফিনের মাজারেও বার্ষিক ওরস চলে। দুটি উৎসব একই সময় হওয়ায় এখানে হিন্দু-মুসলিমদের মিলনোৎসব হয়, যা শত বছর ধরে পরিচিতি লাভ করেছে।
গত ১ এপ্রিল করোনা রোধে জনসমাগম যেন না হয় তার জন্য পুণ্যস্নান ও শাহ আরেফিনের ওরস উৎসব স্থগিত করে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই পুণ্যস্নানে অংশ নেয় হাজারো সনাতন ধর্মাবলম্বীর মানুষ। এছাড়াও শাহ আরেফিনের ওরসেও ভিড় করছেন অসংখ্য ভক্তরা।
এ বিষয়ে তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল লতিফ সরদার জানিয়েছেন, করোনার জন্য এবার যাদুকাটায় পুণ্যস্নান নিষেধাজ্ঞা করা হয়েছে। কিন্তু মানুষ লুকিয়ে লুকিয়ে পুণ্যস্নান করছেন। প্রশাসন কঠোর অবস্থান নেওয়ায় এখন উপস্থিতি কমেছে।
এসআর/