ঢাকাশনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

৯ বছরের শিশুকে দিয়ে হোটেলে দেহ ব্যবসা!

সিলেট প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

শনিবার, ০৫ জুন ২০২১ , ০৫:০৩ পিএম


loading/img
আটককৃত আসামিরা

সিলেটে নিখোঁজের ৬ মাস পর একটি হোটেল থেকে ৯ বছরের এক শিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় নারীসহ ৩ জনকে আটক করা হয়।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (৫ জুন) ভুক্তভোগী শিশুর বাবা ৬ জনের বিরুদ্ধে গোয়াইনঘাট থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এর আগে শুক্রবার (৪ জুন) নগরের শাহজালাল উপশহর এলাকায় হোটেল গুলবাহার থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। 

আটককৃতরা হলেন, হালিমা বেগম (৩৮) কুমিল্লার লাকসামের বাসিন্দা। তিনি বর্তমানে সিলেট নগরের শাহী ঈদগাহ এলাকার বাসিন্দা।বিয়ানীবাজার উপজেলার বাড়ইগ্রামের সুরুজ আলী ছেলে জসিম উদ্দিন (২৬)। সিলেট নগরের শাহজালাল উপশহরের গুলবাহার হোটেলের ম্যানেজার ও জকিগঞ্জ উপজেলার দরিয়াপুর গ্রামের মৃত মদরিছ আলীর ছেলে ওয়াজিদ আলী (৩০)। 

পুলিশ জানান, ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দীরগাঁও থেকে নিখোঁজ হয় ভুক্তভোগী ওই শিশু। প্রথমে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) ও পরে উপজেলার তোয়াকুল ইউনিয়নের পূর্ব পেকেরখাল গ্রামের বতাই মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেনকে অভিযুক্ত করে লিখিত অভিযোগ করেন নিখোঁজ শিশুর বাবা।

এদিকে ভুক্তভোগী শিশুটি একপর্যায়ে কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলার লাকসাম গ্রামের হালিমা বেগম নামের এক দেহ ব্যবসায়ীর হাতে পড়ে। পরে হালিমা তাকে বিয়ানীবাজার উপজেলার বাড়ইগ্রামের সুরুজ আলী ছেলে জসিম উদ্দিনের হাতে তুলে দেন। এ সময় তিনি ভুক্তভোগী ওই শিশুকে গুলবাহার হোটেলের পঞ্চম তলার ৫০৫ নম্বর কক্ষে শিশুটিকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এরপরে বৃহস্পতিবার (৩ জুন) কৌশলে ভুক্তভোগী শিশুটি মোবাইল ফোনে তার বাবাকে বিষয়টি জানালে তিনি পুলিশকে সঙ্গে সঙ্গে সংবাদ দেন। এই সংবাদ পেয়ে শুক্রবার (৪জুন) দুপরে ওই শিশুকে উদ্ধার করে। একই সঙ্গে ৩ জনকে আটক করা হয়।

গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আহাদ বলেন, ভুক্তভোগী শিশুর বাবা হালিমা বেগমকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের বিরুদ্ধে গোয়াইনঘাট থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

জিএম 

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |