বিদেশগামী মানুষের সঙ্গে অর্থের বিনিময়ে ভুয়া করোনা সার্টিফিকেট বিক্রির অভিযোগে জালিয়াতি চক্রের কয়েক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) দুপুরে রাজশাহী নগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার আরেফিন জুয়েল সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান। এর আগে বুধবার (৭ জুলাই) রাতে এক অভিযানে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সার্টিফিকেট জালিয়াতি চক্রের গ্রেপ্তারকৃত সদস্যরা হলেন, রাজশাহী সিভিল সার্জনের অফিস সহায়ক তারেক আহসান (৪১), তার সহযোগী রাজশাহী বক্ষব্যাধি হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালক রফিকুল ইসলাম (৪২) ও তার স্ত্রী সামসুন্নাহার শিখা (৩৮)।
পুলিশ কমিশনার (ডিবি) আরেফিন জুয়েল জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ডিবি জানতে পারে একটি চক্র বিদেশগামী মানুষদের করোনা সার্টিফিকেট নিয়ে জিম্মি করে আসছে। চক্রটি বিদেশগামী মানুষদের থেকে ৩ হাজার থেকে ১৫ হাজার পর্যন্ত টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। করোনা পরীক্ষা সার্টিফিকেটে নেগেটিভ দেয়ার নামে।
চক্রটির মূল-হোতা ছিলেন তারেক আহসান। তার সহযোগি রফিকুল ইসলাম। এই ২ জন করোনা নমুনা পরীক্ষা করা মানুষগুলোর তালিকা সংগ্রহ করতেন। এর পরে টাকার দেন-দরবার করতেন রাকিবের স্ত্রী সামসুন্নাহার শিখা। তিনি করোনার নমুনা দেয়া মানুষগুলোকে ফোন করে বলতেন আপনার করোনার রেজাল্ট পজেটিভ এসেছে। টাকা দিলে নেগেটিভ করে দেয়া হবে। এনিয়ে বিভিন্ন জনের সঙ্গে টাকার বিষয়টি মেলাতেন তিনি। পরে টাকা বিকাশের মাধ্যমে নিতেন তারা।
তিনি জানান, যে সকল বিদেশগামী মানুষ করোনার নমুনা দিতেন। তাদের মাত্র ৪৮ থেকে ৭২ ঘন্টা সময় থাকে কাগজপত্র জমা দেয়ার। তাই বেশি চাপে থাকতেন। এই সুযোগটি কাজে লাগাতো এই চক্রটি। চক্রটি গত চার মাস থেকে এই প্রতারণা চালিয়ে ২৫ থেকে ৩০ জন বিদেশগামী মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
পুলিশ কমিশনার (ডিবি) আরেফিন জুয়েল আরও জানান, চক্রটির থেকে ১০০টি করোনা নমুনার সার্টিফিকেট উদ্ধার করা হয়েছে। এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকা ৩ থেকে ৪ জন পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
জিএম