নরসিংদীর মনোহরদীতে আব্দুর রাশিদ (৬২) নামের এক ব্যক্তি ভুয়া ওয়ারেন্টে ৫ দিন কারাবাসের পর ছাড়া পেয়েছেন। ভুয়া সিআর মামলায় রাজধানী ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ভুয়া ওয়ারেন্টে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
সোমবার (২৩ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে আদালতের নির্দেশে নরসিংদীর জেলা কারাগার থেকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে মনোহরদী থানার পুলিশ আব্দুর রাশিদকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। ভুক্তভোগী আব্দুর রাশিদ নরসিংদীর মনোহরদীর লেবুতলা ইউনিয়নের তারাকান্দি গ্রামের মৃত ছমির উদ্দিনের ছেলে। তার পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধের জের ধরে কোনো প্রতারক চক্রের সহায়তায় প্রতিপক্ষ এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, গত ১৭ আগস্ট ৭২৩/২০১৪ নামের একটি সিআর মামলায় মনোহরদীর লেবুতলা ইউনিয়নের তারাকান্দি গ্রামের মৃত ছমির উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রাশিদ (৬২) নামে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ওয়ারেন্ট আদেশ মনোহরদী থানায় আসে। থানার ওসি আনিচুর রহমান ওই আদেশ তামিল করার জন্য উপপরিদর্শক ওমর ফারুককে দায়িত্ব দেন। পরে ১৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে আব্দুর রাশিদকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেন ওমর ফারুক। গ্রেপ্তারের পর প্রথমে তাকে মনোহরদী থানায় নেওয়া হয়। পরে আনুষ্ঠানিকতা শেষে ওই বিকেলেই তাকে নরসিংদী জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
উপপরিদর্শক ওমর ফারুক আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, আব্দুর রাশিদকে গ্রেপ্তারের ওই ওয়ারেন্টটি নরসিংদীর আদালত নিয়েছিল। চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তা দেখার পর আমাদের থানায় পাঠিয়ে দেয়। আদালতের আদেশ বাস্তবায়নের জন্যই আমি তাকে গ্রেপ্তার করেছিলাম। ওই সময় তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছিলেন, এমন কোনো মামলা তার বিরুদ্ধে নেই। কিন্তু আমি শুধু আমার দায়িত্ব পালন করেছি।
মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিচুর রহমান এ প্রসঙ্গে আরটিভি নিউজকে বলেন, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পাঠানো একটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নরসিংদীর পুলিশ সুপার কার্যালয় হয়ে আমাদের থানায় এসেছে। আদালতের ওই আদেশ দায়িত্ব নিয়ে তামিল করেছেন আমাদের থানার একজন উপপরিদর্শক। ওই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ভুয়া না সঠিক তা আমাদের পক্ষে যাচাই করা সত্যি মুশকিল। তবে গতকাল জানতে পেরেছি, ওই ওয়ারেন্টটি ভুয়া ছিল।
এমআই