টাঙ্গাইলে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। যমুনা নদীর পানি স্থিতিশীল থাকলেও বেড়েছে ধলেশ্বরী, বংশাই ও পুংলী নদীর পানি। এর মধ্যে ধলেশ্বরীর নদীর পানি ৭ সেন্টিমিটার ও পুংলী নদীর পানি বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে এই চিত্র দেখা যায়।
জানা গেছে, ধলেশ্বরী, পুংলী ও বংশাই নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বাঁধ উপচে একের পর এক নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। ফলে পানিবন্দী হয়ে পড়ছে হাজারও লোকজন। গবাদি পশু নিয়ে কষ্টে দিন পার করছেন তারা। দেখা দিয়েছে গোখাদ্যের অভাব। এছাড়াও ভূঞাপুর, টাঙ্গাইল সদর, কালিহাতী ও দেলদুয়ার উপজেলার বন্যা-কবলিত এলাকায় পানির নিচে চলে যাচ্ছে হাজার হাজার একর আমন, সবজিসহ বিভিন্ন ফসল।
অন্যদিকে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নদী তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। অব্যাহত ভাঙনে গৃহহীন হচ্ছে লোকজন। নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে ঘরবাড়ি ও ফসলী জমি। হুমকিতে রয়েছে মসজিদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বহু স্থাপনা। বন্যা ও ভাঙনে মানবেতর জীবন যাপন করছে নদী পাড়ের মানুষ।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম আরটিভি নিউজকে জানান, যমুনার পানি স্থিতিশীল থাকলেও অভ্যন্তরীণ সকল নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর যে সব এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে সেখানে ভাঙন ঠেকাতে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
জিএম