ঢাকাসোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২

ভাসানচরে হচ্ছে পাঁচতারকা হোটেল

হাতিয়া প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

বৃহস্পতিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২১ , ১০:৪৩ পিএম


loading/img
নোয়াখালী হাতিয়ার ভাসানচর

সুইমিংপুল, জিম, সেলুন ও অত্যাধুনিক রেস্টুরেন্টসহ আধুনিক সব সুবিধা যুক্ত করে তৈরি করা হচ্ছে একটি পাঁচতারকা হোটেল। এক সময়ের জনমানবহীন নোয়াখালী হাতিয়ার ভাসানচরে নির্মাণ করা হচ্ছে এই হোটেল।  

বিজ্ঞাপন

জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাদের ভাসানচরমুখী হওয়ায় তাদের জন্য তৈরি করা হচ্ছে এই পাঁচতারকা মানের হোটেল। এটি ভাসানচরের দক্ষিণ প্রান্তে কামরুলের ক্যানটিনের পাশে তৈরি করা হচ্ছে। একটি পাঁচতারকা হোটেল ছাড়াও এর পাশে ইউএন ভবন নামে আরও দুটি চোখ ধাঁধানো স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে।
 
চরের মাটিতে স্টিল স্ট্যাকচারে তোলা হোটেল ও  ইউএন ভবনের পাশেই চলছে আন্তর্জাতিক মানের সুইমিংপুল, জিম এবং টেনিস কোর্টের কাজ। অবসরে নৌকায় ঘুরে বেড়ানোর জন্য কাটা হচ্ছে কৃত্রিম লেক।

পাঁচতারকা মানের হেটেল নির্মাণের দায়িত্বে আছে এস এস এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাধারি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার হাসিব আহাম্মেদ আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, পাঁচতারকা একটি হোটেলের পাশাপাশি একই মানের আরও দুটি বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ জোরেশোরে এগিয়ে চলেছে। এতে থাকবে আন্তর্জাতিক মানের একটি সুইমিং পুল, জিম এবং টেনিস কোর্ট। এ ছাড়া এসব ভবনের একটিতে তৈরি করা হবে অত্যাধুনিক শপিংমল; যাতে থাকবে  রেস্টুরেন্ট, সেলুন ও লন্ড্রিসহ নানান সুযোগ-সুবিধা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে ভাষানচর প্রকল্প-৩-এর মাধ্যমে একজন প্রকৌশলী এসব কাজ তদারকি করছেন।

বিজ্ঞাপন

মূলত, ভাসানচর পর্যবেক্ষণে আসা জাতিসংঘের বিদেশি কর্মকর্তাদের টার্গেট করেই গড়ে তোলা হয়েছে এই শপিংমল। এসবে সাজানো থাকিবে বিদেশিদের নিত্য ব্যবহার্য নানা জিনিসপত্র। 

ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক কমান্ডার আনোয়ারুল কবির আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের দেখবাল করার জন্য জাতিসংঘের কর্মকর্তারা সম্মত হয়েছেন। ইতোমধ্যে জাতিসংঘের একটি টিম ভাসানচর পরিদর্শন শেষে ঢাকাতে গিয়ে আনুষ্ঠানিক সম্মতি জানিয়েছেন। তাদের বসবাসের জন্য তৈরি করা হচ্ছে এসব স্থাপনা। 

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন (আরআরআরসি) অতিরিক্ত কমিশনার মোয়াজ্জেম হোসাইন বলেন, এখানে যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। হোটেলের পাশেই থাকবে জাতিসংঘ এবং শারণার্থীবিষয়ক কমিশনের জন্য আরও দুটি বহুতল ভবন। তিনটি ভবনেরই নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে কয়েক মাস আগেই।

বিজ্ঞাপন

২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রথম ধাপে ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গার আগমন দিয়ে শুরু হয় ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের আনুষ্ঠানিক স্থানান্তর কার্যক্রম। এর পরে আরও ছয়টি ধাপে আসা নারী, পুরুষ ও শিশুসহ মোট ১৮হাজার ৩৪৭ জন রোহিঙ্গা বর্তমানে ভাসানচরে অবস্থান করছে।

বিজ্ঞাপন

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম হোসেন বলেন, ভাসানচরে সরকার নিজস্ব অর্থায়নে ইতোমধ্যে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করে; যাতে এক লাখের বেশি মানুষের বসবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে অত্যাধুনিক ১২০টি আশ্রয়কেন্দ্র, দুটি ২০ শয্যার আধুনিক হাসপাতাল, চারটি কমিউনিটি ক্লিনিক, মসজিদসহ অনেক স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে।

এমআই/টিআই 
 

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |