জয়পুরহাট সদর উপজেলার কুমড়াপাড়া গ্রামে মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারী (৩৬) কন্যাশিশুর জন্ম দিয়েছে। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ নারীসহ শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করার পাঁচ ঘণ্টা পরে ওই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ওই গ্রামের একটি খড়ের স্তূপে নারীটি সন্তান প্রসব করলে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়।
এলাকাবাসী আঞ্জয়ারা বেগম বলেন, মানসিক ভারসাম্যহীন গর্ভবতী নারীটি কিছুদিন ধরেই এলাকায় ঘোরাফেরা করছিল। এলাকাবাসীরা বিভিন্ন সময় তাকে খাবারও দিচ্ছেন। সন্ধ্যায় গ্রামের একটি খড়ের পালার মধ্যে নারীটি সন্তান প্রসব করে। ব্যাপারটি স্থানীয়রা দেখে গ্রামের মহিলাদের খবর দেয়। তারা এসে সন্তান প্রসবের পরবর্তী পদক্ষেপ নাড়ী কেটে দেওয়াসহ শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশকে খবর দেয়।
জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সরদার রাশেদ মোবারক জুয়েল বলেন, ভারসাম্যহীন এক নারীকে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই সন্তান প্রসব করেন। বর্তমানে ওই নারী সুস্থ আছেন।
অন্যদিকে নবজাতককে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কেয়ার ইউনিটে রেখে চিকিৎসা দিচ্ছিল। কিন্তু নবজাতকটি অপ্রাপ্তবয়স্ক ও কম ওজনের (১ কেজি ২০০ গ্রাম) হওয়ার কারণে বিভিন্ন জটিলতায় মৃত্যু হয়েছে।
জয়পুরহাট সদর থানার ওসি আলমগীর জাহান জানান, ওই ভারসাম্যহীন নারী একটি কন্যাসন্তান প্রসব করে। স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে ওই নারী ও কন্যাশিশুকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করার পাঁচঘণ্টা পরে শিশুটি মারা যায়।
তিনি আরও জানান, নারীটির প্রকৃত নাম-পরিচয় কেউ বলতে পারছে না। তবে নারীটির নাম জিজ্ঞেস করলে, হেনা বলছে। আগামীকাল সকালে নারীটিকে সমাজসেবার তত্ত্বাবধানে তুলে দেওয়া হবে এবং শিশুটির মরদেহ আঞ্জুমান মফিদুলের মাধ্যমে সরকারি গোরস্থানে দাফন করা হবে।
জিএম/টিআই