নিজ কার্যালয়ে দুর্বৃত্তদের হামলায় প্রাণ হারানো কুমিল্লার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের বুকে ও মাথায় ৯টি গুলি লাগে বলে জানিয়েছে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের পরিচালক মো. মহিউদ্দিন গত সোমবার (২২ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টায় আরটিভি নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলের মাথায়, বুকের ডান পাশে, বাম চোখের নিচেসহ বিভিন্ন স্থানে ৯টি গুলি লাগে। সন্ধ্যার আগে যখন কাউন্সিলরকে হাসপাতালে নেওয়া হয়, তখন প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল।
তিনি বলেন, হাসপাতালের একটি মেডিকেল টিম কাউন্সিলরকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়। পরে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। আমরা তাকে রাত ৮টার দিকে মৃত ঘোষণা করি। তার মরদেহ হাসপাতালের মর্গে আছে।’
হাসপাতালের পরিচালক বলেন, হরিপদ সাহার পেটের বাম পাশে গুলি লাগে। তার মৃত্যু হয়েছে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনওয়ারুল আজিম জানান, বিকেল ৪টার দিকে কাউন্সিলর সোহেল সুজানগরে তার কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মুখোশ পরা ১৫ থেকে ২০ জন তাকে গুলি করে। এতে কাউন্সিলর সোহেল লুটিয়ে পড়েন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন সুজানগরের অ্যাডভোকেট সোহেল চৌধুরী, দ্বিতীয় মুরাদপুরের মাজেদুল হক বাদল, পাথুরীয়া পাড়ার মো. রিজু, খোরেশদ মিয়া, জুয়েল মিয়া, আবদুল জলিল ও হরিপদ সাহা।
স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ করতে করতে চলে যায়।
হামলায় আহত জুয়েল বলেন, আওয়াজ শুনে রাস্তায় বের হয়ে দেখি সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলি চালাচ্ছে। এ সময় আমার পায়ে গুলি লাগে। তারপর আমি মাটিতে পড়ে যাই।
কাউন্সিলর সোহেলের ভাগ্নে মোহাম্মদ হানিফ আরটিভি নিউজকে বলেন, সবাই আসরের নামাজ পড়ছিলেন। এ সময় প্রচণ্ড গোলাগুলির আওয়াজ কানে আসে। গিয়ে দেখি মামা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। আমি নিজে মামাকে কাঁধে করে বের করি।
কাউন্সিলর সোহেলের গাড়িচালক আনিসুর রহমান মিঠু জানান, গুলির শব্দ শুনে আমার গিয়ে দেখি সোহেল ভাই মাটিতে পড়ে আছে। আমরা অটোরিক্সা প্রথমে মা-মনি হাসপাতাল ও পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই।
এমআই/টিআই
