ঢাকাশনিবার, ০৩ মে ২০২৫, ২০ বৈশাখ ১৪৩২

সোর্সের গায়ে পুলিশের পোশাক, ফেসবুকে ক্ষোভ!

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: আরটিভি নিউজ

মঙ্গলবার, ৩০ নভেম্বর ২০২১ , ০৬:৩১ পিএম


loading/img

পুলিশের গাড়ি থেকে নেমে একটি বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট গায়ে দিয়ে জনগণকে শান্ত থাকার জন্য হ্যান্ড মাইকে অনুরোধ করছেন এক ব্যক্তি। তাকে দেখে মনে হতেই পারে তিনি পুলিশের একজন কর্মকর্তা বা সদস্য। কিন্তু আসলে তিনি পুলিশ নন, সোর্স। পেশায় তিনি কসাই। পাশাপাশি স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির সোর্স হিসেবে কাজ করেন।

বিজ্ঞাপন

তার নাম জাহাঙ্গীর হোসেন। বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার উত্তর চর আবাবিল গ্রামে। গতকাল সোমবার বিকেলে রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সিআইপি বেড়িবাঁধের ওপর দাঁড়িয়ে স্থানীয় জনতাকে শান্ত থাকার জন্য মাইকিং করতে দেখা যায় তাকে। 

পুলিশ না হয়েও পুলিশের দায়িত্ব পালনে এমন আচরণ, জনমনে নানা প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ওই ঘটনার ছবি পোস্ট করে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন অনেকেই। 

বিজ্ঞাপন

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় লোকজন জানান, ইউপি নির্বাচনের পরদিন সোমবার বিকেলে দুই সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পার্শ্ববর্তী হায়দারগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক হাসান জাহাঙ্গীর হোসেন ঘটনাস্থলে যান। 
এ সময় পুলিশের গাড়িতে করে সেখানে যান কসাই জাহাঙ্গীর হোসেন। পুলিশের একটি বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট গায়ে দিয়ে গাড়ি থেকে বের হন তিনি। হ্যান্ড মাইকে জনতার উদ্দেশ্যে তাদের শান্ত থাকার ঘোষণা দিচ্ছিলেন জাহাঙ্গীর। পুলিশের ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ জ্যাকেট কীভাবে একজন সোর্স ব্যবহার করতে পারেন এবং পুলিশের দায়িত্ব পালন করেন সে প্রশ্ন রাখেন তারা। 

হায়দারগঞ্জ বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, জাহাঙ্গীর চর আবাবিল গ্রামের মৃত ইমান আলীর ছেলে। তিনি হায়দারগঞ্জ বাজারের মাংশ ব্যবসায়ী। এ ছাড়া হায়দারগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির চিহ্নিত দালাল। মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে দালালি করে থাকে। 

দালালির বিষয়টি জাহাঙ্গীর নিজেও স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি ফাঁড়ির গাড়িতে করেই ঘটনাস্থলে যাই। তাদের দেওয়া বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে হ্যান্ড মাইকে জনতাকে শান্ত হতে অনুরোধ জানাই। আসলে আমি ছোট মানুষ। তাই বিষয়টি বুঝতে পারিনি। রায়পুর থানার ওসি স্যার দেখে আমাকে বকা দিলে আমি তা খুলে ফেলি। রায়পুর উপজেলার হায়দারগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হাসান জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘জ্যাকেটটি পরে তিনি ঠিক করেননি। আমরা বলার পর সঙ্গে সঙ্গে তিনি খুলে ফেলেছেন। এটা নিছকই একটি ভুল বোঝাবুঝি।

বিজ্ঞাপন

এমএন/এসকে

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |