ঢাকঢোল বাজছে। চারদিকে হই-হুল্লোড়, আনন্দের আমেজ। প্রত্যেকের গায়ে সুন্দর পোশাক। বাহারি সাজে সাজানো হয়েছে রাজধানীর একটি কমিউনিটি সেন্টার। উপলক্ষ্য বিয়ে। সময়মতো বর-কনে হাজির। তাদের ঘিরে বিয়েবাড়িতে ছবি তোলা, আড্ডা খাওয়া-দাওয়া চলছে হরদম। উপহার দেওয়া-নেওয়াতো আছেই।
সবকিছুই অন্যান্য বিয়ের মতো হলেও ব্যতিক্রমী বর-কনেকে নিয়ে। এক জোড়া কিংবা পাঁচ জোড়া নয়, ১৭ জোড়া এতিম ছেলে মেয়েই হলো এই বিয়ের আয়োজনের পাত্র-পাত্রী। আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল এ ছেলে-মেয়েদের বিয়ের ব্যবস্থা করেছে ভোলা সমিতি। এমন আয়োজনকে সাধুবাদ জানিয়েছে বর-কনেদের আত্মীয় স্বজনেরা।
এলাকার সুবিধা বঞ্চিতদের পাশে দাড়াঁনোর জন্য, উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন ভোলার বিশিষ্টজনেরা। সেই সঙ্গে জমকালো আয়োজনে বিয়ে হওয়ায় খুশি নব-দম্পতিরাও।
২০১৯ সালেও জাঁকজমক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে ১২ জোড়া দম্পতির বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেছিল ভোলা সমিতি। সামনের দিনগুলোতে বিত্তবানদের সহায়তা পেলে ভবিষ্যতেও জেলার পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সহায়তা অব্যাহত রাখবে ভোলা সমিতি, এমনটা জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
বিয়ে নিয়ে এমন আয়োজন শুধু ভোলা জেলাতেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। সকল জেলায় গরিব ও অসহায় মানুষের পাশে থেকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেবে এমনটাই আশা করছেন তারা।
ইজে/এমআই