চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় মুজিব শতবর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘর ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
দামুড়হুদা উপজেলা মোক্তারপুর গ্রামের গড়োপাড়ার আব্দুল মজিদ তার উপহার পাওয়া ঘর ভাড়া দিয়েছেন বলে তদন্তে প্রমাণ পেয়েছে ভূমি অফিস। দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার মোক্তারপুর গ্রামের গড়োপাড়ার আব্দুল মজিদ মুজিব শতবর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের একটি ঘর পান। ঘরটি হস্তান্তর করার পর থেকে তাকে কোনোদিন ওই ঘরে বসবাস করতে দেখা যায়নি। গত এক সপ্তাহ আগে ভৈরব নদী খননকাজে নিয়োজিত বেশ কিছু শ্রমিকের কাছে ওই ঘরটি ভাড়া দেন আব্দুল মজিদ। ঘরটি ভাড়া দেওয়ার পর থেকে মোক্তারপুর গ্রাম জুড়ে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। এক পর্যায়ে দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসে বিষয়টি। গতকাল মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি তদন্তের জন্য দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়। তদন্তে সত্যতা পান তিনি।
মোক্তারপুর গ্রামের একাধিক বাসিন্দা জানান, যে ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর দেওয়া হয়েছে সে ব্যক্তিগতভাবে বেশ সচ্ছল। তার নামে বেশ কিছু জমিও আছে। তাহলে কীভাবে একজন সচ্ছল ব্যক্তিকে ভূমিহীন বানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর দেওয়া হলো? এ নিয়ে ওই এলাকায় চলছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়।
এ বিষয়ে ঘর মালিক আব্দুল মজিদ আরটিভি নিউজকে জানান, আমার নামে কোনো জমি নেই। লোকের জমি বর্গা নিয়ে চাষ করি। আমার বিরুদ্ধে ঘর ভাড়া দেওয়ার যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা সঠিক না। যাদেরকে ঘর ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তারা ভৈরব নদী খনন কাজে নিয়োজিত শ্রমিক। আমি তাদেরকে রান্না করে দেই। তারা আমার ঘরে এসে খাওয়া-দাওয়া করে। মাঝে দুদিন বৃষ্টির কারণে তারা আমার ঘরে থেকেছে।
দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুদীপ্ত কুমার আরটিভি নিউজকে জানান, মুজিব শতবর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ মোক্তারপুর গ্রামের আব্দুল মজিদের বিরুদ্ধে। সরেজমিন তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। আব্দুল মজিদের নামে বরাদ্দের ঘরটি বাতিল করে প্রকৃত ভূমিহীনকে পুনরায় ঘরটি বরাদ্দ দেওয়ার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
জিএম/এসকে