নবীনগর উপজেলার নাটঘর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী এরশাদুল হক (৩৫) ও তার সহযোগী বাদল সরকারকে (২৫) খুনের ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে নবীনগর সার্কেল পুলিশ কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে কসবার বিদ্যানগর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আশরাফুল ইসলাম রাব্বি জেলা শহরের কাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
নবীনগর উপজেলার নাটঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের ছেলে আসন্ন নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী এরশাদুল হক ও তার সহযোগী বাদল সরকারকে গত শুক্রবার রাতে গুলি করে হত্যা করা হয়।
জানা গেছে, হত্যার প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর এরশাদুলের ভাই আখতারুজ্জামান গত শনিবার রাত সোয়া ১২টার দিকে ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৩ থেকে ৪ জনকে আসামি করে নবীনগর থানায় মামলা করেন। এদিকে গত শুক্রবার ওই এলাকা থেকে সোহাগ নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরে রাব্বি পুলিশকে জানান, গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯ টায় মামলার এজাহারভুক্ত প্রথম আসামি নজরুল মোটরসাইকেলে রাব্বিকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। এ সময় নজরুল রাব্বির মোটরসাইকেল থেকে নেমে এরশাদ ও বাদলকে চারটি গুলি করেন। তখন নজরুল রাব্বিকে বলেন, ‘এরশাদকে মেরে ফেলেছি, চলেন পালাই।’
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জানান, তার ছেলে এরশাদ সামনের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। এলাকায় তার ও এরশাদের ব্যাপক জনপ্রিয়তা ছিল। এ কারণে এরশাদকে হত্যা করা হয়েছে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন জানান, গত শুক্রবার রাতে কুড়িঘর বাজারের পাশে ওয়াজ মাহফিলে যোগ দিতে গিয়েছিলেন এরশাদ, বাদলসহ কয়েকজন। সেখান থেকে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা এরশাদ ও বাদলকে লক্ষ্য করেই গুলি করে। ঘটনাস্থলে বাদল মারা যান। আর আহত এরশাদকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর সময় পথে তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, রাব্বীকে বুধবার (২২ ডিসেম্বর) আদালতে হাজির করা হবে। নজরুলকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। এ হত্যাকাণ্ডে আর কেউ জড়িত আছে কি না সেটিও তদন্ত করা হচ্ছে।
জিএম/এসকে