বরগুনাগামী ‘এমভি অভিযান-১০’ লঞ্চে করে বাড়ি ফিরছিলেন রিয়াজ নামে এক ব্যক্তি। তিনি একমাত্র ছেলেকে প্রথমবারের মতো দেখবেন বলে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ি ঠিকই ফিরলেন রিয়াজ কিন্তু কফিনের বাক্সে। ২৮ দিন বয়সী ছেলের মুখ দেখা হলো না আর।
বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী ‘এমভি অভিযান-১০’ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সময় পুড়ে মারা যান তিনি।
এদিকে রিয়াজের মরদেহ ফিরেছে তার গ্রামের বাড়ি বরগুনার বেতাগীতে। এরপরই তার বাড়ি জুড়ে শুরু হয় শোকের মাতম। তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন।
জানা গেছে, নিহত রিয়াজের একমাত্র ছেলে সিফাতের বয়স মাত্র ২৮ দিন। জন্মের পরপরই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয় সিফাত। খবর শুনে ঢাকা থেকে রওনা হন বাবা।
নিহতের স্ত্রী মুক্তা জানান, তার ছেলের জন্ম হয়েছে মাত্র ২৮ দিন। জন্মের পর তার স্বামী রিয়াজ অফিসের ছুটি না পাওয়ায় ঢাকা থেকে সন্তানকে দেখতে আসতে পারেনি। শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) বড়দিনের ছুটি থাকায় গত বৃহস্পতিবার বরগুনাগামী লঞ্চে করে বাড়িতে আসছিল। কিন্তু বাড়ি ফেরা হলো ঠিকই তবে লাশ হয়ে। চেহারা চেনারও উপায় নেই, পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
রিয়াজের মা পিয়ারা বেগম বলেন, ‘রিয়াজের স্ত্রী মুক্তা ও তার ছেলে সিফাত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ছেলে বাবার জন্য অপেক্ষা করছে। আমি এখন আমার ছেলের মরদেহ নিয়ে কীভাবে তাদের সামনে যাব? ’
জিএম/এসকে