কুমিল্লার চান্দিনায় ভোটের একদিন পর কেন্দ্রের পেছন থেকে নৌকায় সিল মারা ব্যালট উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার ১নং শুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের শুহিলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের পেছনের পুকুর থেকে ১০টি ব্যালট পেপার উদ্ধার করে পুলিশ।
এর আগে স্থানীয়রা নৌকায় সিল মারা ব্যালট পেপার পুকুরের পানিতে ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, গতকাল বুধবার পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার ১নং শুহিলপুর ইউপি থেকে ৭৮ ভোটের ব্যবধানে নৌকার প্রার্থী ইমাম হোসেনকে পরাজিত করে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু বকর আনারস প্রতীক নিয়ে জয়লাভ করেন। কিন্তু ঘোষিত ওই ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে ভোট গণনায় প্রশাসনের কারচুপির অভিযোগ তোলেন নৌকার প্রার্থী ইমাম হোসেন। বুধবার নির্বাচন চলাকালে ইমাম হোসেন প্রশাসনের পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণের অভিযোগ তুলে এবং দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে প্রশাসনের অবস্থান নিয়ে তিনি ফেসবুকে লাইভ করেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই ইউনিয়নের শুহিলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনের মৎস্য প্রজেক্টে মাছ ধরতে গিয়ে নৌকা প্রতীকের কিছু ব্যালটপেপার পানিতে ভাসমান দেখতে পায় এলাকার লোকজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বিপুলসংখ্যক লোকজন জড়ো হয়। এতে এলাকায় বেশ উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিত্যক্ত এসব ব্যালট উদ্ধার করে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করে। এ সময় ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে এলাকাবাসী।
নৌকার প্রার্থী ইমাম হোসেন সরকার বলেন, দুটি ভোটকেন্দ্রের পেছন থেকে আমরা ৩০টি ব্যালট পেপার উদ্ধার করেছি। প্রশাসন কারচুপি করে আমাকে পরিকল্পিতভাবে পরাজিত করেছেন।
তিনি বলেন, আমার অসংখ্য ব্যালট পেপার তারা গায়েব করে ফেলেছেন। প্রশাসন রহস্যজনক কারণে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষ নিয়ে আমাকে পরাজিত ঘোষণা করেছেন।
এ বিষয়ে চান্দিনা থানার ওসি আরিফুর রহমান বলেন, আমরা সুহিলপুর ভোটকেন্দ্রের পেছন থেকে দশটি সিলমারা পরিত্যক্ত ব্যালট পেপার উদ্ধার করেছি। এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এমআই/টিআই