ঢাকামঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল ২০২৫, ১৮ চৈত্র ১৪৩১

হিজাব বিতর্কে ঢাবিতে সমাবেশ

আরটিভি নিউজ

বুধবার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ , ০৩:২১ পিএম


loading/img
ছবি : সংগৃহীত

ভারতের কর্ণাটকে হিজাব পরে কলেজে ঢুকতে গিয়ে একদল গেরুয়া ওড়না পরা তরুণের বাধার মুখে পড়ে বলে রুখে দাঁড়িয়েছেন একা এক ছাত্রী। এ ঘটনার প্রতিবাদে সমাবেশ করেছে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা’।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।

এ সময় বিক্ষোভ মিছিল করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থান ঘুরে অপরাজেয় বাংলায় গিয়ে মিলিত হয়।

বিজ্ঞাপন

সমাপনী বক্তব্যে ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আকরাম হোসেন বলেন, ভারতের যে ঘটনা ঘটেছে, এই ঘটনা বাংলাদেশেও ঘটে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজাব, বোরকা বা টিশার্ট পরে আসার কারণেও শিক্ষকদের হাতে নারী শিক্ষার্থীদের হেনস্তার শিকার হতে হয়। কোনো শিক্ষার্থীর পোশাকের স্বাধীনতাকে খর্ব করা চলবে না। পোশাকের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়ার কারণে ভারতের শিক্ষার্থীরা যে প্রতিবাদ জারি রেখেছে তার প্রতি আমরা সংহতি জানাই। পোশাকের স্বাধীনতা যেখানেই কেড়ে নেওয়া হবে সেখানেই আমরা শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াবো।

জয়দেব চন্দ্র রায় বলেন, এ ঘটনার জন্য আমি একজন সনাতন ধর্মাবলম্বী হিসেবে খুব লজ্জাবোধ করছি। এটা রাষ্ট্রীয়ভাবে করা হচ্ছে। সেখানে ‘জয় শ্রীরাম’ বলে আমাদের কিছু সনাতন ধর্মাবলম্বী স্লোগান দিচ্ছে এবং এর বিরুদ্ধে কথা বলছে। বোরকা পরা একটা ভালো জিনিস। আমি বোরকার পক্ষে। যেটা পরলে আমাদের মা-বোন সুরক্ষিত থাকবে। আমি তো মনে করি আমার মা বা বোন যদি বোরকা পরতে চায়, পরতে পারে। এটাতে তো কাউকে বাধ্য করা যাবে না। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অপর শিক্ষার্থী নুসরাত তাবাসসুম বলেন, মানুষ কোন পোশাক পরবে আর কোন পোশাক পরবে না, সেটা তার নিজস্ব বিষয়। বর্তমান ভারত সরকারের একটি হিন্দুত্ববাদী চাল হিসেবে দেখছি। হিজাব যে শুধু মুসলিম নারীরা পরে তা নয়। আমরা যদি খ্রিস্টান সেবিকাদের দেখি, তারাও হিজাব পরে। অনেক হিন্দু বিধবারাও মাথা ঢাকতে পছন্দ করে। কিন্তু এভাবে বাধা সৃষ্টি করা সন্ত্রাসমূলক কাজ।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী আশরেফা তাসনিম বলেন, হিজাব পরাকে যখন আমি আফগানি ও তালেবানি পোশাকের সঙ্গে তুলনা করবো তখন এটা হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতার প্রতীক। আমরা যে অসাম্প্রদায়িকতার নামে বিদ্বেষ ছড়িয়ে দিচ্ছি, সবার মনে এটাই সবচেয়ে বড় সহিংসতা। আমার দেশে যে ধর্মীয় সম্প্রীতি যখন থাকবে তখন আমি বোরকা পরবো, আমার বান্ধবী সিঁদুর-শাঁখা পরবে, কেউ সেলাওয়ার কামিজ পরবে।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |