সম্প্রতি দেশে গরুর মাংসের দাম দফায় দফায় বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে চোরাকারবারিরা ভারতীয় গরু ক্রয় করে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম আঙ্গরপোতা ছিটমহলে নিয়ে আসে। বহুল আলোচিত তিন বিঘা করিডোরের গেট দিয়ে জীবন্ত গরু পাচার করা সম্ভব না হওয়ায় চক্রটি গরুগুলো দহগ্রামে জবাই করে মাংস বস্তাবন্দী করে করিডোর গেট অতিক্রম করে সুকৌশলে এসব মাংস লালমনিরহাটসহ দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় পাঠানো হয়।
গত বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রামের একটি ভুট্টা খেত থেকে বস্তাবন্দী প্রায় ৪ মণ মাংসগুলো উদ্ধার করে পাটগ্রাম থানা পুলিশ।
গরু জবাই করার দীর্ঘ সময় পরে এসব মাংস ক্রেতার হাতে পৌঁছায়। ফলে মাংসগুলো মানহীন হওয়া স্বাস্থ্যের
জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠে। এসব মাংস খেয়ে নানা রকম রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ।
দহগ্রামের অভ্যন্তরে এমন মাংস পাচারবারী চক্রের উৎপাত বিগত দিনগুলোর চেয়ে সম্প্রতি লাগামহীনভাবে বেড়েছে। চক্রটি গরু নিয়ে এসে বাঁশঝাড় এবং ভুট্টা খেতের আড়ালে জবাই করে মাংস বস্তাবন্দী করে সুযোগমত পাচার দেশের বিভিন্ন এলাকায় তা পাচার করে আসছে।
পাটগ্রাম থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, ভুট্টা খেত থেকে ৪ মণ মাংস উদ্ধার করে উপজেলা প্রাণীসম্পদ বিভাগকে জানানো হয়েছে। মাংস পাচারকারী চক্রকে ধরতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।