জামালপুরের মেলান্দহে বাল্য বিয়ে বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা কালে বরকে ফেলে পালিয়েছেন বর ও কনের বাবা-মাসহ বিয়ে বাড়ির সকলে। গতকাল শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার নাংলা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার শফিকুল ইসলাম। পরে বাল্য বিয়ে দেবেন না মর্মে কনের চাচার কাছ থেকে মুচলেকা ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে বিয়ে বন্ধ করা হয়।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার নাংলা ইউনিয়নের একটি গ্রামে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর (১৫) ধুমধাম করে বিয়ের আয়োজন চলছিল। স্থানীয় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া কিশোরীর জামালপুর সদর উপজেলার এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়। গতকাল শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বরযাত্রী কনের বাড়িতে আসেন। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা প্রায় শেষ পর্যায়ে ছিল।
এদিকে বাল্য বিয়ের খবর পেয়ে ইউএনও বিয়ে বাড়িতে এসে হাজির হন। ইউএনওর উপস্থিতি টের পেয়েই পালিয়ে যান বর ও কনের বাবা-মা।
এ বিষয়ে মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শফিকুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমরা সঠিক সময়ে গিয়ে বাল্য বিয়ে বন্ধ করি। অভিযান পরিচালনার সময় বর ছাড়া কাউকে পাওয়া যায়নি। পরে কনের চাচাকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসন সব সময় মাঠ পর্যায়ে খোঁজ খবর রাখছে। বাল্যবিয়ে বন্ধে সমাজের সকল শ্রেণির মানুষের দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখা উচিত বলেও তিনি মনে করেন।