কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) মূল ফটকের পাশে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রনি নামে এক স্থানীয় যুবককে মেরে রক্তাক্ত করার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) রাত ১০টার পর এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছনে, মো. রনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের পাশে রাখা বাঁশের স্তুপে প্রস্রাব করার প্রতিবাদ করলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী খায়রুল বাসার সাকিব প্রথমে ওই যুবকের বাইকের চাবি কেড়ে নেয় এবং সঙ্গে সঙ্গে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ এলোপাথাড়ি ঘুষি দেয় রনিকে। এতে রনির নাক ফেটে গেলে গুরুতর আহত হন। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতা-কর্মীরা দুই পক্ষকে আলাদা করার চেষ্টা করলেও দত্ত হলের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত ও বঙ্গবন্ধুর হলের পদপ্রত্যাশী খায়রুল বাসার সাকিব পাশে থাকা কাঠের দোকান থেকে কাঠ নিয়ে বারবার রনির দিকে তেড়ে যায়।
এ ব্যাপারে আহত মো. রনি আরটিভি নিউজকে বলেন, আমি শুধু তাদের বাঁশের উপর প্রস্রাব করতে মানা করেছিলাম। কিন্তু সাকিব আর এনায়েত মিলে আমাকে মেরে আহত করেছে। মারামারির সময় সাকিবকে দেখে আমার স্বাভাবিক মনে হয়নি। আমার কাছে এ ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত বলে মনে হয়েছে।
এ ব্যাপারে তিনি কোন আইনি সহায়তা নিবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এ ব্যাপারে সবার সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিব।
মারামারির ব্যাপারে খায়রুল বাসার সাকিব আরটিভি নিউজকে বলেন, তার সঙ্গে আমার এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি, শুধু তর্কাতর্কি হয়েছে। তার নাক মুখ দিয়ে রক্ত ঝরছে সে ব্যাপারে আমি কিছু জানিনা। তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে আমি ওখান থেকে চলে এসেছি।
দত্ত হলের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ এ ব্যাপারে বলেন, আমি তাকে মারিনি। সেখানে হাতাহাতি হচ্ছিল আমি ছুটাতে গিয়েছ। আর ছুটাতে গেলে তো একটু ধাক্কাধাক্কি করতে হয়। কারা এই মারামারির সঙ্গে জড়িত আছে আমি খোঁজ নিচ্ছি।
স্থানীয় যুবককে মার দেয়ার ঘটনায় একাধিকবার শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজকে ফোন দেয়া হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
মারামারির ব্যাপারে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল ইসলাম মাজেদ আরটিভি নিউজকে বলেন, আগামী রোববার আমরা ছাত্রলীগ ও ঐ ছেলের (রনি) পক্ষের লোকজনকে নিয়ে বসবো। বসে এর সমাধান করবো।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. কাজী মোহাম্মাদ কামাল উদ্দিন আরটিভি নিউজকে বলেন, আমি আপনার মাধ্যমে ঘটনাটি জানতে পারলাম। আমি এখন সহকারী প্রক্টরদের এ ঘটনা সর্ম্পকে খোঁজ নেয়ার জন্য বলছি। কাল এ ব্যাপারে আমরা বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
