খাবারের দাওয়াত না দেওয়ায় এক শিক্ষককে লাথি ও কিল-ঘুষি মারেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজ (শরীয়তপুর) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহাগ বেপারী ও সাধারণ সম্পাদক রাসেল জমাদ্দারের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
শনিবার (২ এপ্রিল) সকালে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. হারুন-অর-রশিদ বাদী হয়ে শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানায় মামলাটি করেন। এর আগে গত ৩১ মার্চ সকালে শরীয়তপুর জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মো. মহসিন মাদবর ও যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদুজ্জামান রাশেদের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজ শরীয়তপুরের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. হারুন-অর-রশিদ বলেন, গত ৩০ মার্চ কলেজের বাংলা বিভাগের সম্মান চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের মৌখিক পরীক্ষার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানে বহিঃপরীক্ষকগণ আসেন। শিক্ষক বি এম সোহেলসহ কলেজের বাংলা বিভাগের অন্যান্য শিক্ষকগণও উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, তখন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহাগ বেপারী ও সাধারণ সম্পাদক রাসেল জমাদ্দার ২০ থেকে ২৫ জন লোক নিয়ে কলেজের ৩০২ নম্বর কক্ষে বেআইনিভাবে জোরপূর্বক প্রবেশ করে। পরীক্ষার অনুষ্ঠানের প্রীতিভোজে তাদের দাওয়াত দিল না কেন? এ বিষয় নিয়ে পরীক্ষায় বাধা সৃষ্টি করে। শিক্ষক বি এম সোহেল প্রতিবাদ করলে তাকে হত্যার উদ্দেশে লাথি ও কিল-ঘুষি মেরে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এ ছাড়াও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট তথ্য প্রেরণের জন্য গত ৩০ মার্চ বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের নিয়ে ১৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল।
ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মহসিন মাদবর বলেন, সোহাগ বেপারী যে এই কলেজের নিয়মিত ছাত্র নয়, তা আমাদের জানা ছিল না। আর কমিটি অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি। তার বিরুদ্ধে শিক্ষককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়ার পর। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে কলেজ শাখা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছি।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আক্তার হোসেন বলেন, ওই ঘটনায় সোহাগ ও রাসেলের নামসহ ২০ থেকে ২৫ জন অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা করেছেন কলেজের অধ্যক্ষ। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
