ঢাকারোববার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২

হত্যা মামলার আসামির গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার

বগুড়া প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

বৃহস্পতিবার, ২৬ মে ২০২২ , ০৫:৪৯ পিএম


loading/img
ফাইল ছবি

বগুড়ার শেরপুরে এনামুল হক (৩০) নামের হত্যা মামলার এক আসামির গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২৬ মে) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের হাপুনিয়া মহাবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পেছন থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। নিহত এনামুল হক হাপুনিয়া গ্রামের আবদুল মোতালেবের ছেলে।

নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী জানায়, ২০১৩ সালে হাপুনিয়া গ্রামের সালমা খাতুন নামের এক নারীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে এনামুল হক। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় হত্যা মামলা রয়েছে। সেই মামলায় প্রায় তিন বছর হাজতবাসের পর জামিনে বেরিয়ে আসেন তিনি। এরপর থেকেই মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন এনামুল। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বুধবার (২৫ মে) সন্ধ্যার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। আর বাড়ি ফেরেননি। একপর্যায়ে বৃহস্পতিবার সকালে স্কুলমাঠ-সংলগ্ন শহীদ মিনারের পেছনে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় এলাকাবাসী। পরে থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

বিজ্ঞাপন

নিহতের খালা জাহানারা বেগম জানান, জেল থেকে বের হওয়ার পর থেকেই এনামুল হক আমার বাড়িতেই থাকত। তার জন্য আমার বসতবাড়ির একপাশে কুঁড়েঘর বানিয়ে দিই। কিন্তু মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলায় সে রাতের বেলায় স্থানীয় হাপুনিয়া বাজারসহ আশপাশে ঘুরে বেড়াত। আর দিনের বেলায় ঘুমিয়ে থাকত। প্রতিদিনের ন্যায় বুধবার সন্ধ্যার দিকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। পরদিন সকালে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা।

শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়ায় হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের গলায় ও পেটে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সম্ভবত গলাকেটে ও শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করা হতে পারে।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |