চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোর আগুনে এ পর্যন্ত মোট ৪১ জন মারা যাওয়ার তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের মধ্যে ১৪ জনের পরিচয় মিলেছে। অন্যান্যদের মধ্যে কয়েকজনের পরিবার-স্বজনরা হাসপাতালে আসেনি। আবার অধিকাংশই পুড়ে অঙ্গার হয়ে যাওয়ায় মরদেহ শনাক্ত করার মত নয়। ফলে এখনও ২৭ জনের পরিচয় মেলেনি।
-
আরও পড়ুন... ‘দগ্ধদের রক্ত নয়, মৃত্যু হবে ফ্লুইডের অভাবে’
যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে তারা হলেন- কুমিল্লা ফায়ার সার্ভিসের কর্মী মনিরুজ্জামান, ভোলা দক্ষিণ বালিয়ারার হাবিবুর রহমান, বাঁশখালীর রবিউল আলম, মুমিনুল হক, মহিউদ্দিন, তোফায়েল আহমেদ, নোয়াখালীর চাটখিলের আলাউদ্দিন, মো. সুমন, যশোরের ইব্রাহীম হোসেন, রানা মিয়া, নিপুন চাকমা, শাকিল, আফজাল হোসেন ও নয়ন।
বিএম ডিপোর মুখপাত্র শামসুল হায়দার সিদ্দিকী সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আলাউদ্দিন তালকুদার বলেন, নিহতদের মরদেহ চমেক হাসপাতালে রাখা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৮ জন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা রয়েছে। আগুন নেভানোর সময় বিস্ফোরণে প্রাণ গেছে তাদের। দগ্ধ ও আহত হয়ে হাসপাতালে দুই শতাধিক মানুষ ভর্তি রয়েছেন।
আর ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, লাশের সারি আরও দীর্ঘ হতে পারে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
-
আরও পড়ুন... কন্টেইনার ডিপোতে যেভাবে আগুনের সূত্রপাত (ভিডিও)
শনিবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকার বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এ দুর্ঘটনায় ৪১ জন নিহত ও দুই শতাধিক আহত হয়েছেন। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেলসহ আশপাশের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরবর্তী সময়ে ইউনিট আরও বাড়ানো হয়। ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিটের ১৮৩ কর্মী আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। এছাড়া নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও কুমিল্লাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকেও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে কাজ করছেন।
-
আরও পড়ুন... 'মামা আমার মেয়েটার মুখ আর দেখা হলো না'